Thursday, 6 August 2015

পাক সার জমিন সাদ বাদ -- পর্ব ২১

এক অনন্য সাধারন বামপন্থি 'হুমায়ূন আজাদ' এবং বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতন নিয়ে তার অমর কালজয়ী সৃষ্টিঃ "পাক সার জমিন সাদ বাদ"-- পর্ব ২১ ------------------------------------------------------------ পর্ব যত বাড়ছে হিন্দুদের নারীদের উপর ইসলামি জিহাদের বর্বরতার কাহিনী ততই বাড়ছে। তাই পড়ুন, ইসলামি জিহাদ বিষয়ে আগাম সতর্ক হোন... ----------------------------------------------------- আমার একটি প্রিয় অভ্যাস হচ্ছে ছহবতের পর তাদের(হিন্দু নারীদের) কিছু উপহার দেওয়া। আমার মধ্যে আরব্যরজনীর একটি হারুনর রশিদ বাস করে। যদি এখন সোনার দিনার চল থাকতো, তাহলে আমি ছহবতের পর তাদের অমৃতনির্ঝর সোনার খনিতে কয়েকটি সোনার সিনার ঢুকিয়ে দিতাম উপহার হিসাবে, যাতে আমাকে তারা চিরকাল মনে রাখে; স্তনে দুটি স্বর্ণমুদ্রা গেঁথে দিতাম, যাতে ওখানে আমি চিরকাল থাকি। এখন যা চলে তা ঢোকানো যায় না; তাই আমি তাদের কয়েক হাজার করে দিই, তারা খুশী হয়। ওরা অনেকেই একসঙ্গে কয়েক হাজার দেখে নি। আমি কিছু সোনার হার, আংটি, লকেটও কিনে রেখেছি; যারা আমাকে বেশি সুখ দেয়, বেহেশতের স্বাদ দেয়, তাদের খনিতে আমি ধীরে ধীরে দামি সোনার হার, আংটি, লকেট ঢূকিয়ে দিই, ফ্রাংক হ্যারিশ নামে এক অতিশয় মহাপুরুষের অকপট আত্মজীবনী পড়ে এটি আমি শিখেছিলাম, তাদের টেনে বের করতে বলি, তারা টেনে বের করে সুখে তা গলায় আঙুলে পড়ে। আমি ঠিক ধর্ষন, বলাৎকার বা জেনা করি না, পেয়ার করি, প্রেম করি; যেমন দিল্লির বাদশারা, বাগদাদের সুলতানরা, তুরস্কের সুলতানরা করতো; হয়তো তাদের থেকে একটু বেশি রাজকীয় ভাবেই করি, যদিও আমার রাজত্ব ও দিনার নেই, কিন্তু আমি প্রেমকলা শিখেছি বাৎস্যায়নের থেকেও ভালো। আমার সঙ্গে যারাই ঘুমিয়েছে, আমার সাম্যবাদ সর্বহারার যুগের পর, তারা সবাই স্বীকার করেছে, আবার আসতে চেয়েছে। বিজয়ের পর আমাদেরও উৎসব আছে, প্রাপ্য আছে। আমাদের প্রাপ্য উর্বশী, রম্ভা আর উর্বশী-রম্ভার থেকেও যা সুন্দরী ও সেক্সি ও সেক্সাইটিং, মেরোলিন ও সুচিত্রার সংমিশ্রন, সেই অজর আমর টাকা, যাতে খোজাও দিন রাত রতিতে মত্ত থাকতে পারে, খোজার সর্বাঙ্গে অজস্র দৃঢ় শিশ্ন বিকশিত হয়, সেই চিরকামাবেদনময়ী,অনন্তযৌবনা, কামদেবী যার আছে অহস্র পীনোন্নত স্তন ও মধুময় যোনি ও প্রশস্ত নিতম্ব- টাকা, সোনারুপো, যা ৭০ বিলিয়ন ছওয়াবের থেকেও আকর্ষনীয়; একদিন পাবো বাড়ীঘর, যাতে আমরা পবিত্র গার্হস্থ্য জীবন যাপন করবো, ধর্মকর্ম করবো, মক্কা-মনোয়ারায় যাবো। ঠান্ডা আগুন এখনো আমরা থামিয়ে দিই নি, ঠান্ডা আগুনের থেকে গরম আগুন আর নেই; এর মাঝে ওরা অনেকেই ওদের আপন দেশে চলে গেছে; কিন্তু ঠান্ডা আগুনে পোড়া দাগ ওদের কোনোদিন সারবে না। আমার মদিনাতুন্নবি এলাকায় অনেককেই খবর দেওয়া হয়েছে।

No comments:

Post a Comment