কাজী মুগিস উদ্দিন বলেছেন "সম্রাট আলাউদ্দিন ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যায় অন্যায় বা নীতি আদর্শের ধার ধারতেন না"। অর্থের প্রাচুর্য থাকলেই বিদ্রোহের মনোবৃত্তি ও সামর্থ্য জন্মে থাকে ;এই ছিল সম্রাট আলাউদ্দিনের ধারনা। এজন্য তিনি ধনবান হিন্দু মাত্রকেই নানা ভাবে শোষণ করে তাদের অর্থবল নাশ করলেন। তিনি দোয়াব অঞ্চলের হিন্দুদের নিকট হতে উৎপন্ন ফসলের অর্ধাংশ রাজস্ব হিসেবে আদায় শুরু করলেন এবং হিন্দু জনসাধারণের উপর এমন অসহনীয় কর ভার স্থাপন করলেন যাতে তারা এই কর মুক্তির আশায় দলে দলে "ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে। তার এ ধরনের কার্যকালাপে মুসলমান মওলানাগণ খুব খুশি হয়েছিলেন। মিশরের জনৈক বিখ্যাত ইসলামী আইন বিশারদ "আলাউদ্দিন খিলজীকে একপত্রে লিখেছিলেন "শুনলাম আপনি নাকি হিন্দুদের এমন অবস্থা করেছেন যে, তারা মুসলমান দের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষাবৃত্তি গ্রহন করেছে। এরুপ কাজ করে আপনি "ইসলামধর্মের অশেষ উপকার সাধন করেছেন। একমাত্র এই কাজের জন্য আপনার সকল পাপের মার্জনা হবে।
সম্রাট গিয়াসউদ্দিন তাহার পূর্বসূরি সম্রাট আলাউদ্দিনের পদাংক অনুসরণ করে "হিন্দুরা যাতে মুসলমানদের বাড়িতে ভিক্ষা করে বেড়ায় সেজন্য বিভিন্ন নির্দেশ জারী করলেন।
সূত্র:- "ইসলামী শান্তি ও বিধর্মী সংহার"
নামক গ্রন্থ থেকে.....।।
No comments:
Post a Comment