পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও এমন অনেক কিছু ঘটেছে যা নিয়ে একটু চর্চা করা প্রয়োজন। সর্বত্রই শুনেছি দূর্নীতিগ্রস্ত শাসককে ক্ষমতাচ্যূত করতে প্রধান বিরোধী দল জোট বেঁধে লড়াইয়ে নেমেছে। জোট টা কার সাথে? ভারতীয় রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি দূর্নীতিগ্রস্ত ৬০ বছরের ও বেশি সময় লুণ্ঠন করে চলা কংগ্রেস নামক নেহরু-গান্ধী পরিবারের মালিকানাধীন একটি দলের সাথে! ছিঃ ছিঃ ছিঃ এত অধঃপতন! দ্বিতীয় অভিযোগ, উন্নয়নের অর্থ ঢুকেছে নেতামন্ত্রীর পকেটে। যথার্থ অভিযোগ, কিন্তু তার জন্য ৩৪ বছর ধরে বাংলার পরিকাঠামোকে ধ্বংস করে দেওয়া নেতিবাচক রাজনীতি করা দলটিকে মানুষ সমর্থক কেন করবে? যাদের আমলে রাজ্যের অর্থ আলিমুদ্দিন হয়ে সুশৃঙ্খল উপায়ে ছড়িয়ে পড়ত প্রান্তিক ক্যাডার পর্যন্ত। কেন্দ্রের দেওয়া কোটি কোটি টাকা ফিরে যেত বছর শেষে। গত কয়েক বছরে অন্তত গ্রামের রাস্তা গুলি হয়েছে, স্বাস্থ্য পরিষেবার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, নতুন স্কুল কলেজ আইটিআই স্থাপিত হয়েছে। হ্যাঁ, দূর্নীতি ও হয়েছে সাথে সাথে। এবার আসি মৌলবাদ তোষনে, বর্তমান সরকারের আমলে ইসলামী মৌলবাদ আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। এর গোড়াপত্তন বামেরাই করেছিল বিপুলভাবে মাদ্রাসার অনুমোদন দিয়ে। একটা ব্যাপারে শাসক এবং বাম এক রা। যে কোন মূল্যে সংখ্যালঘু ভোট পেত হবে। একমাত্র প্রতিবাদী মুখ রাজ্য বিজেপি, সংগঠনের অভাবে যদিও তা খুব দূর্বল ভাবে। ভোটসন্ত্রাস ও রাজনৈতিক খুন বাংলার কলঙ্ক। ৭০ এর দশকে শুরু হওয়া এই ঘৃণ্য রাজনীতি বামআমলেই চরম রূপ নেয়। পরিবর্তনের পরেও তা বহাল তবিয়তে চলছে। বামেরা এলে তা আরও বাড়বে এ বিশ্বাস আমার মত অনেকেরই আছে যারা সারা বিশ্বের কমিউনিস্টদের ব্যাপারে একটু খোঁজ রাখি। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বর্তমান সরকার যা টালবাহানা করছে কঠোর ভাষায় তার নিন্দা করি। এর আশু প্রতিকার প্রয়োজন। একইভাবে নিন্দা করি তাদের ও যারা উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে আইনি জটিলতা তৈরি করছেন। এরা কারা? একটু খোঁজ নিন, পরিচিত নাম পাবেন। সবশেষে আসি কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কে। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্র সরকার সম্বন্ধে কী মনোভাব পোষণ করেন তা কারো অজানা নয়। বাম সরকার এলে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে নতুন করে বলার কিছু নেই। মাঝের থেকে আরো কিছু বজ্জাত রাজ্যসভায় গিয়ে কেন্দ্র সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজে বিঘ্ন ঘটাবে। সবশেষে বলি, রাজ্যের প্রকৃত উন্নয়ন এর জন্য এমন একটি সরকার দরকার য কেন্দ্র সরকারের সহযোগী হবে, সংখ্যালঘু তোষন থেকে বিরত থাকবে এবং দূর্নীতির প্রশ্নে কঠোর অবস্থান নেবে। মতামত ব্যক্তিগত, সিদ্ধান্ত আপনার।
No comments:
Post a Comment