Sunday, 15 May 2016

"আল-আমিন মিশন" এর ব্যাপারে শুনেছেন নিশ্চয় আপনারা?

"আল-আমিন মিশন" এর ব্যাপারে শুনেছেন নিশ্চয় আপনারা? একটা পোস্টে দেখলাম মিশনের লুঙ্গি খোলা হয়েছে, কিন্তু উনার লুঙ্গি খোল ঠিক ভাবে হয়নি, তাই এখানে আমি মিশনের ব্যাপারে কয়েকটা তথ্য যোগ করলাম, যেগুলো মূর্শিদাবাদের ধূলিয়ানে "আল-আমিন মিশন" এর একটি শাখার এগুলো ওখানকার নিয়ম কানুন। নিয়ম গুলো পড়লে বুঝতে পারবেন এটা কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না শিক্ষার নামে একটি জিহাদি প্রতিষ্ঠান! - মিশন ক্যাম্পাসে হিন্দুদের সহ বাকি ধর্মালম্বীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, একমাত্র মুসলমান ছাড়া সেখানে কেউ যেতে পারবে না। মিশনে মেধাবী মুসলমান ছাড়া কেউ ভর্তি হতে পারবে না, শর্ত হল ছেলে-মেয়ে কে একেবারে মিশনের হাতে তুলে দিতে হবে, একবার ছেলে মেয়ে কে মিশনের হাতে তুলে দিলে মা-বাবার কোনো অধিকার থাকবে না, শুধু ছুটির দিনে বাড়ি যাওয়া আর ফোনে কথা বলা ছাড়া। যতদিন না পর্যন্ত ছেলে-মেয়ে কোনো প্রশাসনিক বা ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার বিভাগে চাকরী পাচ্ছে তত দিন ছেলে-মেয়ের দায়িত্ব মিশনের উপর। ছেলে-মেয়েদের সরকারী চাকরী ছাড়া অন্য কোনো লাইনে যেতে দেওয়া হয় না। মিশনে ছেলে-মেয়েদের হাইফাই সুবিধা দেওয়া হয়। সব টাকা দেয় পতাকা গ্রুপ! বিড়ি, বিস্কুট, কাপড় বিক্রি ও কয়েকটি বেসরকারী নার্সিংহোম চালিয়ে ৩২টা ব্রাঞ্চ ও ৭০০০ ছাত্র ছাত্রীদের বিনা পয়সা তে পালন করে কিন্তু! এখানেও শর্ত আছে, এক ছাত্র যদি চাকরি পাই তবে সেই ছাত্র কে মিশন থেকে বেড়ানোর সময় লিখিত ভাবে লিখে নেওয়া হয়, তার চাকরির যা আয় হবে সেই আয় থেকে তাকে নতুন এক ছাত্রর সব খরচা বহন করতে হবে, যতদিন না ওই এক ছাত্র চাকরী পাচ্ছে। এখানে অন্য বিষয়ে পড়াশোনার উপর অতোটা জোড় দেওয়া হয় না, যতটা জোড় Islamic Culture শেখার উপর দেওয়া হয়। একজন মিশনের ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করবেন তাদের অন্য বিষয়ের তুলনাই কোরাণ পড়ানোর উপর কতটা জোড় দেওয়া হয়। বেশির ভাগ মিশনের ছাত্রই প্রায় অর্ধেক কোরাণ মুখস্থ থাকে। মিশনের প্রতিটি সদস্যই ঝাড়ুদার থেকে শুরু করে শিক্ষক প্রত্যেক জনে মুসলমান, মিশনে কোনো ছাত্রকে অন্য ধর্মের মানুষদের সঙ্গে মিশতে দেওয়া হয় না পর্যন্ত। মিশনের প্রত্যেকজন কে ইসলামি শরিয়াতি নিয়ম কঠোর ভাবে পালন করতে বাধ্য করা হয়, একটু নিয়ম ভঙ্গ করলে চাকরী থেকে বরখাস্ত, আর ছাত্রদের চরম প্রহার। সারাদিনে সকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পড়ানো হয়, তার মধ্যে ৫ ঘন্টা পড়ানো হয় শুধু Islamic Culture। সব বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা স্পেশাল টিচার। ক্যাম্পাসে কোনো ভারতের জাতীয় পতাকা পাবেন না, জাতীয় সঙ্গীত শুনতে পাবেন না কিন্তু মাইক লাগিয়ে ৫ ওয়াক্তা আল্লা হু আকবর দূর থেকেও শুনতে পাবেন। মিশনের প্রতি মাসে একটা করে ‪#‎ গরু‬চাই, ছাত্র-ছাত্রীদেরপেট পূজার জন্য। ছাত্র ছাত্রীরা মাসে চিকেন খেতে না পেলেও মাসে একবার করে ‪#‎ বিফ‬অবশ্যয় খাওয়ানো হয়। গরুর চামড়া শিং খুর এগুলো মুচি সম্প্রদায়ের মানুষদের বিক্রি করা হয়। - উপরে যা যা বললাম এগুলো সব মূর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে Rahmania Academy for Boys & Girls (মিশনের শাখা)এর নিয়ম কানুন, চাইলে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন। আশুতোষ শিভব উরফ সমীর কুমার মন্ডল

No comments:

Post a Comment