কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় তিনজনকে ফাঁসি ও তিনজনকে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা শোনাল আদালত। দোষী সাব্যস্ত ছ’জনের মধ্যে আমিন আলি, সইফুল আলি মোল্লা এবং আনসার আলি মোল্লাকে আদালত ফাঁসির সাজা দিয়েছে। ভোলা নস্কর, শেখ এমানুল ইসলাম ও আমিনুর ইসলামকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে।
কামদুনির ছাত্রী গণধর্ষণ ও হত্যায় দোষী ঘোষিত ৬ অপরাধীর কী সাজা হবে, আমৃত্যু কারাবাস না মৃত্যুদণ্ড, জানতে অধীর অপেক্ষায় ছিল কামদুনি-সহ গোটা রাজ্য। সাজা নিয়ে এক ঘণ্টার সওয়াল-জবাব শেষে রায় দেয় আদালত। এর আগে শুনানি চলাকালীন সর্বোচ্চ শাস্তির পক্ষে সওয়াল করে সরকারি আইনজীবী। দুপুর সাড়ে তিনটেয় সাজা ঘোষণা করেন বিচারক সঞ্চিতা সরকার।গতকাল সাজা ঘোষণা হয়নি। নগর দায়রা আদালতে বিচারক সঞ্চিতা সরকারের এজলাসে সাজার মেয়াদ নিয়ে গতকালের পর আজ সকাল ১১টা থেকে ফের শুনানি শুরু হয়। নগর দায়রা আদালতে বিচারক সঞ্চিতা সরকারের এজলাসে সাজার মেয়াদ নিয়ে সওয়াল করেন অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। তবে নির্যাতিতার ভাইয়ের দাবি, ফাঁসি চাই দোষীদের।
গতকাল তিনটি পর্যায়ে শুনানি হয়। আড়াই বছর পর গণধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ৬ অভিযুক্তকে। তথ্যপ্রমাণের অভাবে খালাস পেয়েছে ২ জন। এ নিয়ে আজ শুনানিতে এক ঘণ্টা বলার সুযোগ পাবেন তাদের আইনজীবীরা। আজই সাজা ঘোষণার সম্ভাবনা।
কেন দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হল, সেজন্য ক্ষুব্ধ নির্যাতিতার পরিবার। তারা ওদের ছাড়া পাওয়া রুখতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন।
No comments:
Post a Comment