পৈতৃক সম্পত্তিতে হিন্দু মেয়েদের অধিকার দেওয়ার কথা প্রথম বলেছিলেন সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকর। কিন্তু তাঁর কথা মানেননি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু। তাই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন আম্বেদকর। শনিবার গুজরাটে গিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ করলেন বিহারের রাজ্যপাল রাম নাথ কোবিন্দ।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে গুজরাটের জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন বিহারের রাজ্যপাল রাম নাথ কোবিন্দ। ওই সেমিনারে দেশের আইনের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাবাসাহেবের প্রসঙ্গ তোলেন রাম নাথ। ১৯৫১ সালে আচমকা আইন মন্ত্রীর পদ থেকে আম্বেদকরের পদত্যাগের জন্য পরোক্ষে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকেই দায়ী করেন তিনি। বলেন, পৈতৃক সম্পত্তিতে হিন্দু মেয়েদের অধিকার দেওয়া নিয়ে বিল তৈরি করেছিলেন বি আর আম্বেদকর। কিন্তু সেই বিল খারিজ করে দেয় নেহেরু সরকার। জওহরলাল নেহেরুর উদ্ধৃতি তুলে বিহারের রাজ্যপাল বলেন, “জওহরলাল নেহেরু বাবাসাহেব আম্বেদকরকে বলেছিলেন যে, পৈতৃক সম্পত্তিতে হিন্দু মেয়েদের অধিকার দেওয়ার ইস্যুতে দেশবাসী তোমার আধুনিক চিন্তাধারা নিতে প্রস্তুত নয়।’’ এর জবাবে আম্বেদকরের উদ্ধৃতি তুলে কোবিন্দ বলেন, “আম্বেদকর বলেছিলেন যে, দেশ স্বাধীন হয়েছে, এবার আইনের মাধ্যমে এই ধরনের সচেতনতা তৈরি করা আমাদের কর্তব্য।’’ এরপরেও নেহেরু যখন বিলটি খারিজ করে দেন, তখন আম্বেদকর আইনমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন বলে জানান রাম নাথ।
এদিন বাবাসাহেবের আইনমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেওয়ার কারণ জানানোর পাশাপাশি আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কাছে তাঁর মতাদর্শও তুলে ধরেন বিহারের রাজ্যপাল। তিনি বলেন, নেহেরু, গান্ধী বা অন্যান্য নেতাদের মত ব্রিটিশদের থেকে রাজনৈতিক ক্ষমতা পাওয়া আম্বেদকরের লক্ষ্য ছিল না, দেশবাসীকে তুলে ধরাই তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল। রাম নাথ কোবিন্দের কথায়, “তিনি (আম্বেদকর) বিশ্বাস করতেন যে, সমাজের অশুভ শক্তিগুলি দূর করতে পারলে দেশ নিজে থেকেই উন্নতি করবে।’’ http://www.bengali.kolkata24x7.com/dr-ambedkar-never-wanted-power-quit-over-hindu-bill-bihar-governor.html
No comments:
Post a Comment