বিশ্বের সব উন্নত রাষ্ট্রের মানুষ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। ব্যতিক্রম
কেবল হিন্দুপ্রধান রাষ্ট্র ভারত। ভারত
এমনি একটি সেকুলার রাষ্ট্র যেখানে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে
অবস্থান নিতে গেলে আপনি মুসলমান বিরোধী সংখ্যালঘু
নির্যাতনের কেসে ফেঁসে যাবেন। সেদেশে প্রকাশ্যে
কলকাতার রাস্তায় তালিবান প্রধান বিন লাদেনের নামাজে
জানাযা পড়া হয়, সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসিতে দুঃখিত হয়ে
গাড়ি ভাঙা হয়। মুম্বাই শহরে বোমা মেরে মানুষ হত্যাকারী
ইয়াকুব মেননের ফাঁসির প্রতিবাদ জানানো হয়। একজন খুনি
জঙ্গির ফাঁসি হবে জেনে ফাঁসির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন
সেদেশের বুদ্ধিজীবীরা। লাখ লাখ মানুষ জড়ো হয়ে একজন
জঙ্গির জন্য নামাজে জানাযা পড়ে। যেদেশে বাংলাদেশ
থেকে জঙ্গি ঢুকে একের পর এক সহিংস কর্মকাণ্ড ঘটলেও
বাংলাদেশী অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে নরম কিংবা
শক্ত কোনো ব্যবস্থায় নেওয়া হয় না পাছে সংখ্যালঘু
নির্যাতনের আর্তনাদ উঠবে সেই ভয়ে; সেদেশে মাত্র তিরিশ
হাজার মুসলমান জঙ্গি সংগঠন আইএসে যোগ দিতে মুখিয়ে আছে
বলে বিশ্বাস করি না। সুযোগ পেলেই ভারতের সতের কোটি
একতাবদ্ধ মুসলমান, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেজর্জরিত বাম ও সেকুবাদী
চেতনায় বিশ্বাসী একশো কোটি হিন্দুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে।
No comments:
Post a Comment