Saturday, 30 January 2016

শ্রী পরেশ রাওয়াল মোদিজীকে রামচন্দ্রের সাথে তুলনা করেছেন।

শ্রী পরেশ রাওয়াল মোদিজীকে রামচন্দ্রের সাথে তুলনা করেছেন। আমি একমত, তবে আমি মনে করি শ্রী নরেন্দ্র মোদি ঈশ্বরের আর এক অবতার। বিস্তারিত বর্ণিত হলো। *শ্রী রাম চন্দ্র অবতার রূপে আর্বিভুত হয়ে সত্য, ধর্ম ও ন্যায়ের পথে জীব কুলকে রক্ষা করে গেছেন, শ্রী নরেন্দ্র মোদিজীও সত্য, ধর্ম ও ন্যায়ের পথে ভারত বর্ষ পরিচালনা করছেন। আজ দেশ যে কত উন্নত হচ্ছে তা জিডিপি ও বিদেশী পত্রিকার রিপর্ট দেখলেই বোঝা যায়। *শ্রী রাম চন্দ্র অত্যান্ত ধার্মিক রূপে মনুষ্য জীবণ অতিবাহিত করে গেছেন। পিতার ধর্ম রক্ষার্থে তিনি বনবাসে গিয়েছিলেন। শ্রী নরেন্দ্র মোদিও অত্যান্ত ধার্মিক। তিনি ভগবানের আরাধনার জন্য সন্যাসি হয়েছিলেন। তার ভিতর হিন্দু ধর্মের মূল বাণী সত্য, অহিংসা, ক্ষমা,ত্যাগ স্বীকার, বিবেকের বাণী সবই উপস্থিত। যার জন্য তিনি সকলের হৃদয় জয় করতে পেরেছেন। * শ্রী রামচন্দ্র অধার্মিককে নাশ করেছিলেন, অসুর মেরে জগৎ কে রক্ষা করেছিলেন। মোদিজিও মানুষের ভিতর আসুরিক মানুষিকতা বর্জনের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। * শ্রী রাম চন্দ্র প্রজাদের কল্যানে নিরলস কাজ করে গেছেন। সংসার ধর্ম পালন না করে, প্রজাদের মন রক্ষার্থে সীতা মা কে বনবাসে পাঠিয়েছিল। রাজা হয়েও প্রজাদের কল্যানের জন্য সকল সুখ বর্জিত করেছিলেন। শ্রী নরেন্দ্র মোদিজীও দেশের মানুষের কল্যানে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। দিনে চার ঘণ্টা ঘুমায়ে দেশের কল্যানে পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে বেরাচ্ছেন। সংসার ত্যাগ করে প্রজাদের কল্যাণে সর্বদা ব্রতী হয়েছেন। * শ্রীরামচন্দ্র প্রজাদের অত্যাচার তো দূরে থাক, তারা খারাপ কথা বললেও কিছু বলেনি। সীতা মাকে যখন লঙ্কা থেকে অযোধ্যায় নিয়ে আসা হয়েছিল, তারপর অনেক কষ্টের সম্মখিন হয়েছেন রাজা রাম। কিন্তু প্রজাদের হিতের জন্য নিজ ধর্ম কে বর্জন করেন নি। শ্রী নরেন্দ্র মোদিজীকেও নানা আসুরিক ভাবাপন্ন ব্যক্তিরা গালাগালি করেছে, পুতুল বানায়ে পোড়ায়ে ফেলেছে, মোদি বিরোধী শ্লোগান দেছে, নানা কাঠগড়ার সম্মুখীন হয়েছেন তবুও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্তা নেন নি। উপরন্তু তাদের মন জয় করার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। * শ্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের উন্নয়নের জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কৃষকের কথা ভেবে কৃষক দের ব্যংক, জলের জন্য নদীতে বাধ, জ্যাম রোধের জন্য হাজার হাজার মাইল ছয় লেনের রাস্তা, প্রতিরক্ষা খাতে অঘোর উন্নতি, জিডিপি উন্নয়নে নিরলস কাজ, বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বুলেট ট্রেণ সহ সকল ট্রেণের উন্নয়ন আরো কত কি! দীর্ঘ ষাট বছরে যে উন্নয়ন দেখেনি ভারত, সেই উন্নয়ন আজ দু বছরেই দেখছে সকল ভারত। * মোদির সহজ সরল জীবণ ধারণই বলে দেয় মোদির দেশ ভক্তি। কংগ্রেসের আমলে যা ব্যবহার হয়ছিল, মোদিও তাই ব্যবহার করে। নতুন কিছু কেনেনি সে। যে সব লোক মনমোহনের আমলে যারা প্রধানমন্ত্রির কার্যালয়ে কর্মরত ছিল তারা সবাই মোদির কার্যালয়েও কর্মরত আছে। যা পৃথিবীতে এই প্রথম এমন হলো। এক জন ব্রহ্মচারী রাজা শ্রী নরেন্দ্র মোদি জগতের হিতের জন্য শত্রুকেও প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ করতে পারে, তার প্রমাণ এথেকেই বোঝা যায়। * মোদির গুণ কখনো শেষ হবে না। সাদা জামায় একটু কালিতেই খারাপ দেখায়। কিন্তু কালো কাপড়ে হাজার কালি লাগলেও কিছু মনে হয় না। মোদির ক্ষেত্রেও এমনি। ** শ্রী রাম চন্দ্রের মানবিক জীবণ ধারণ শ্রী নরেন্দ্র মোদির জীবণে পুরোপুরি দেখা যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে মোদি আরো উপরে। যুগে যুগে ঈশ্বর নানা অবতার রূপে এসেছেন। মনুষ্য ধর্ম রক্ষার্থে আর আসুরিক ধর্ম নাশ করতে সে বদ্ধ পরিকর। দেশে আসুরিক প্রতিপন্ন লোকের সংখ্যা প্রচুর। এই সব লোকের ধর্ম পথে ফিরিয়ে আনাই হবে মোদিজীর এক মাত্র কাজ। যা ঈশ্বরের অবতার হওয়ারই প্রধান লক্ষণ।তাই আমার বিশ্বাস শ্রী নরেন্দ্র মোদিও ঈশ্বরের অবতার। আমি শ্রী পরেশ রাওয়ালের সাথে পুরোপুরি একমত। এমনকি মনে করি শ্রী নরেন্দ্র মোদিজী ঈশ্বরের আর এক অবতার।

No comments:

Post a Comment