Monday, 18 January 2016

কালকের দৈনিক যুগশঙ্খে ছাপানো একটি খবর পড়ে আঁতকে উঠলাম।

কালকের দৈনিক যুগশঙ্খে ছাপানো একটি খবর পড়ে আঁতকে উঠলাম। পাকিস্তানের লাহোরে একটি মসজিদে আয়োজিত সাধারণ একটি ইসলামিক সম্মেলনে ইমাম সাহেব শ্রোতাদের জিজ্ঞেস করেন এখানে কি কেউ আছে যে নিয়মিত নমাজ আদায় করে না, থাকলে হাত উঠান! শ্রোতাদের মধ্যে থেকে ১৫ বছরের এক যুবক হাত উটাবার গুস্তাকি করে ফেলে!! হাত উঠানোর অর্থ হল সে নিয়মিত নমাজ পাঠ করেনা। আর যায় কোথায়, পাশেই ইমানি জোসে ফুটন্ত তার সহস্রোতারা সঙ্গে সঙ্গে থাকে জাপ্টে ধরে তার একটি হাত কেটে প্লেইটে সাজিয়ে ইমামের সামনে রেখে দেয়। ১৫ বছরের একটি ছেলের জীবন বরবাদ করে দিল অসভ্য বর্বরেরা। তার অপরাধ কি, সে তার ধর্মের কিছু জিনিষ পালন করেনা! বুঝিয়ে বললে হয়তো সে বুঝতো! তাই বলে তার হাত খেটে ফেলার অধিকার কে দিল তাদের? এখন ও পর্যন্ত কেউ এই ব্যাপারে এফআইআর করেনি বলে কাউকে অ্যারেস্ট করেনি তারা, এটা পুলিশের বক্তব্য। কেমন রাষ্ট্রব্যবস্থা দেখতে পাচ্ছেন, এই না হলে একটি ইসলামিক দেশ! এই খবরটি আমি একজন মুসলিম ছেলেকে দেখিয়ে বললাম এরকম করা কি ঠিক হল? সে আমাকে বলল ওর গলা কেটে ফেলা উচিত ছিল এটা তো কম হয়েছে। চিন্তা করুণ আমি ভেবেছিলাম পাকিস্তান বলেই হয়তো ওরা এত অসভ্য এবং মধ্যযুগের চিন্তাধারা, কিন্তু না এখানে ও একই ধরনের মানষিকতা! ইসলামিক মানষিকতা তো । আসলে একি সিলেবাসের পাঠ সেখানো হচ্ছে এদের, সেটা পাকিস্তানে হউক আর বাংলাদেশে হউক আর ভারতেই হউক! R.S.S - রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ

No comments:

Post a Comment