Tuesday, 12 January 2016

পশ্চিমবঙ্গে শরীয়া আইন চালু হয়ে যাবে

শেয়ার অবশ্যই করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অবদানে বাংলাদেশের আগেই হয়ত পশ্চিমবঙ্গে শরীয়া আইন চালু হয়ে যাবে। ইসলামী মৌলবাদিদের রমরমা চলছে সেখানে। বাংলাদেশের জেএমবি জঙ্গীরা ঘাটি গেড়ে বসেছে সেখানে, আর মমতা ব্যানার্জি ভোট ব্যাংকের রাজনীতির জন্য এদের মদদ দিয়ে যাচ্ছেন। আমার অবাক লাগে নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামী জঙ্গী সংগঠন 'সিমি'র এক সময়কার সাধারন সম্পাদক আহমেদ হাসান ইমরানকে কিভাবে মমতা ব্যানার্জি রাজ্যসভার এমপি বানান? এর সাথেই বাংলাদেশের জামাতের অর্থ লেনদেন হয়েছে। হিন্দুবিরোধি দাঙ্গার আরেক উস্কানিদাতা ইদ্রিস আলীকে এমপি বানান মমতা। মমতা ব্যানার্জি হিন্দু মৌলবাদের বিরোধী। এটাকে সাধুবাদ জানানোর পর অবাক হতে হয় সেই মমতাই পরম মমতায় উগ্র ইসলামী মৌলবাদী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এবং টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম বরকতিকে আচঁলের নিচে রেখেছেন। ফুরফুরার ত্বহা সিদ্দিকা ব্রাদার্স কোম্পানি তো আছেই। বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী জামাত নেতাদের রায়ে ইসলামী মৌলবাদীরা মিছিল করে, আর তাতে পুলিশি প্রটেকশন দেয় মমতার সরকার। আর ভারতের মহান(?) স্যেকুলারিজম!! ফেসবুক বন্ধুদের পোস্ট+জি নিউজ থেকে জেনেছি যে মালদার কালিয়ারচকে বড় রকমের একটা সাম্প্রদায়িক সমস্যা হয়েছে। পুলিশ স্টেশনে আগুন দিয়েছে, হিন্দুদের দোকানপাটে আগুন দিয়েছে,বিএসএফের গাড়ী পুড়িয়েছে, মন্দিরে হামলা হয়েছে। উত্তর প্রদেশের এক বিজেপি নেতার মন্তব্যের প্রতিবাদে সেখানে লক্ষাধিক মুসলিম জনতা একত্রিত হয় এবং হামলা শুরু করে। পুলিশ আহত হয়েছে, পরে পালিয়ে বেচেছে। যেহেতু এখানের হামলাকারীরা মুসলিম তাই প্রায় সকল মিডিয়া এতোবড় ঘটনা চেপে গিয়েছে। অথচ আখলাকের ঘটনা পুরো ভারত তো বটেই বাংলাদেশের শিশুরাও জানে। ভারতের মুসলিম নির্যাতনের সামান্য ঘটনাও বাংলাদেশের মিডিয়া ব্যাপক প্রচার করে। অথচ হিন্দু নির্যাতনের ঘটনাগুলো দুদেশের মিডিয়াই চেপে যায়। বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতনের কোন খবর আমি ভারতের মিডিয়ায় কখনো দেখিনি। বাংলাদেশের মতো দূর্গা প্রতিমা ভাঙার ঐতিহ্য পশ্চিমবঙ্গেও চালু হয়েছে। বাহ! মহান(?) স্যেকুলারিজমের কল্যানে ইসলামী জঙ্গীদের হুঙ্কারে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মৌলবাদবিরোধী লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে বিতাড়িত করা হয়, আবার সেই তারাই হিন্দু ধর্মীয় নেতা তোগাড়িয়াকে পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ করে হিন্দু মৌলবাদের অভিযোগে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর হামলায় আমি কখনো দেখিনি কাউকে প্রতিবাদে পুরস্কার ফেরত দিতে। ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় কবি সাহিত্যিকসহ সকল শ্রেনী পেশার লোকেরা পুরষ্কার, পদক ফেরত দিয়ে প্রতিবাদ করেছে, অথচ তারাই ইসলামী মৌলবাদীদের উগ্রতার সময় চরমভাবে নিশ্চুপ। ভারতে ভন্ড বাম ও স্যেকুলার সবাই ইসলামী মৌলবাদের তোষন প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। ফলাফল দেখবেন আগামী ২০-৩০ বছরে। ভারতের ভন্ড বামগুলো সূদুর ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে মিছিল করে, অথচ পাশের দেশে সংখ্যালঘুদের জন্য একটা বাক্যও ব্যয় করে না। ভাবছেন আমি বাংলাদেশী হয়ে ভারতের এটা নিয়ে কেন এতোকিছু ভাবছি? ভাবছি সাবেক পূর্ববঙ্গের অধিবাসী, আমাদের এখান থেকে প্রতিনিয়ত হিজরত করে পশ্চিমবঙ্গে যাওয়া হিন্দুদের কথা। আমার চোখের সামনে আমাদের গ্রামের বহু হিন্দু পরিবারের ভিটে খালি করে ভারতে যাওয়া দেখেছি, এখনো যাচ্ছে। চেষ্টা করেছি এদের থামাতে, কিন্তু পারিনি। কাপুরুষের দল নিরাপদ স্থানের খোঁজে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে, কয়েক বছর পরে আবার সেখান থেকে কোথায় পালাবে এটা ভাবছি। তবে সেবার তারা পালানোর সময় পশ্চিমবঙ্গের ভূমিপুত্র সাথীদেরও পাবে এটা নিশ্চিত!!

No comments:

Post a Comment