Saturday, 5 December 2015

ফেরত এলো ৬ই ডিসেম্বর- অভিযোগের দিন। আমি ক্লান্ত।

১; "মুসলিমদের নূন্যতম অধিকার নেই বাবরী মসজিদ ধ্বংস সম্পর্কে অভিযোগ করার।১০০০ খ্রিষ্টাব্দ হতে কাথিওয়ার থেকে বিহার,হিমালয় থেকে বিন্ধ্যাচল পর্যন্ত প্রতিটি মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে।উত্তর ভারতের একটি মন্দিরও ধ্বংস থেকে বাঁচেনি।যে কয়েকটি বেঁচেছিল সেগুলো এইকারনেই যে প্রতিকূল ভৌগলিক অবস্থানের কারনে মুসলিম বাহিনী সেখানে পৌঁছতে পারেনি।অন্যথা এটা ছিল ধ্বংসের এক বিরামহীন যজ্ঞ।আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন কোন জাতি ই এটা ক্ষমা করবেনা।অযোধ্যারঘটনা কখনোই ঘটতো না যদিনা মুসলিমরা(রাম মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ করার) ঐতিহাসিক সত্যটাকে স্বীকার করত।" -নিরোদ সি চৌধুরী,(তথাকথিত) শান্তির ধর্মের অনুসারীদের ধর্মীয় গোঁড়ামী ও নিগ্রহের সংস্কৃতি সম্বন্ধে। ২; এক বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার আগে ও পরে ১৯৮৯,১৯৯০,১৯৯২,১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে যে হাজার হাজার মন্দির ভাঙ্গা হয় তখন কই ছিলেন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশীরা? আপনাদের নূন্যতম অধিকার নেই বাবরী মসজিদ ধ্বংস সম্পর্কে অভিযোগ করার। ৩; মাইনোরিটি ওয়াচের সমীক্ষা অনুযায়ী শুধুমাত্র ২৮/০২/২০১৩ইং থেকে ২৮/০৩/২০১৩ইং পর্যন্ত এদেশে সম্পূর্নভাবে ধ্বংস করা হয়েছে ১৮০টি মন্দির, আংশিক ধ্বংস করা হয়েছে ১৫৪টি, সম্পূর্ন ধ্বংস করা হয়েছে ২৭৭টি বসত বাড়ি এবং আংশিক ধ্বংস করা হয়েছে ২১২টি, লুটপাট ,অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ৫৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে , নারীর সম্ভ্রম হানি হয়েছে ৯ জনের, দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছে ২০১২টি পরিবার, নিহতের সংখ্যা ৩, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন ২৮জন, খোলা আকাশের নীচে বসাবাস করছেন ২৯০টি পরিবার, আর্থিক ক্ষতি আনুমানিক ১৭০ কোটি। দেইল্যা রাজাকারের রায় দেওয়ার পর পরেই কি জানি কি কারনে হিন্দুদের মন্দির ধ্বংস করা শুরু করে এক দল নর পিশাচের দল . চট্টগ্রামের সাতকাহানিয়াতে চলে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ। এরপরও এটাকে বলবেন আপনারা বিছিন্ন ঘটনা? ৪; শান্তিপূর্ণভাবেদুর্গাপূজার কথা বলেন? বুকে হাত দিয়ে বলেন সারা বাংলাদেশে এমন কোন বছর কি আছে যেখানে দুর্গাপূজায় প্রতিমা ভাঙচুর হয় নাই? গুগলে মন্দির ভাঙচুর, মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর দিয়ে সার্চ দিলেই আপনাদের অস্মাপ্রদায়িক চেহারা বের হয়ে আসবে। তারা এভাবেই প্রতিদিন এক বাবরী মসজিদের কথা স্মরন করবে কিন্তু হাজারো সোমনাথ মন্দিরের দীর্ঘশ্বাস পেছনে রয়ে যাবে,আর থেকে যাবে তাদের ধ্বংসের এই সংস্কৃতি... এবার দেখুন বাংলাদেশের চিত্র। যারা বলে এদেশে হিন্দু নির্যাতন হয় না বা এদেশের হিন্দুরা অন্যান্য দেশের সংখ্যালঘুদের থেকে ভাল আছে তাদের মুখের উপর এগুলো ছুড়ে দেবেন। ১। http:// bangalihindupost .blogspot.com/ 2013/05/ blog-post_2047.h tml ২। http:// bangalihindupost .blogspot.com/ 2013/05/ blog-post_2861.h tml ৩। http:// bangalihindupost .blogspot.com/ 2013/05/ blog-post_653.ht ml ৪। http:// bangalihindupost .blogspot.com/ 2013/05/ blog-post_21.htm l ৫। http:// bangalihindupost .blogspot.com/ search/label/ হিন্দু%20নির্যাত ন ৬। http:// bangalihindupost .blogspot.com/ 2013/08/ blog-post.html?u tm_source=BP_re cent ৭। http:// www.prothom-alo. com/detail/ date/2012-09-22/ news/291536 ৮। http:// www.newspoint24. com/ details.php?nid= 1056 ৯। http:// www.prothom-alo. com/detail/ date/2011-04-26/ news/149608 ১০। http:// bdhindu.blogspot .com/2011/06/ blog-post.html ১১। http:// www.barisaltoday .com/1081 ১২। http:// bangalihindupost .blogspot.com/ search/label/ বাঁশখালী কয়েক দিন আগের ঘটনা (কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে শপিংমলে মুসলিম জঙ্গি সংগঠন কত্রিক হামলার ঘটনা) http:// bd24live.com/4/ হজরত-মুহম্মদের-ম ায়ের-নাম/ #.UkOURIYp_fI ”হজরত মুহম্মদের মায়ের নাম জানিস না? তবে গুলি খা” ”হজরত মুহম্মদের মায়ের নাম কী?” বলতে না পারায় গুলি করা হল এক ভারতীয়কে | নাইরোবির শপিং মল-এ | ৬৮ জনকে মেরে ফেলার পরে অনেক জনকে বন্দি করেছিল সোমালি জঙ্গি গোষ্ঠী আল-শাবাব | তাদের কবল থেকে বেঁচে পালিয়ে আসা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা | বন্দিদের মধ্যে বেছে বেছে অ-মুসলিমদের খুঁজছিল জঙ্গিরা | বলছিল,শাহাদা থেকে বলার জন্য | যাঁরা উত্তর দিতে পারছিলেন তাঁদের রেহাই দেওয়া হচ্ছিল | কিন্তু যাঁরা পারছিলেন না, তাঁদের টার্গেট করা হচ্ছিল | জঙ্গিদের হাত থেকে বেঁচে ফেরা একজন হলেন যোশুয়া হাকিম | তাঁর কথায়, জঙ্গিদের বেশির ভাগ টিন এজার | তারা মলের দোতলায় বন্দি করে অনেকজনকে | সেখানেই ছিলেন যোশুয়া | তিনি আই-কার্ডে খ্রিস্টান নাম ”যোশুয়া” আঙুল দিয়ে ঢেকে শুধু ”হাকিম” কথাটা জঙ্গিদের দেখান | ফলে রেহাই পান | কিন্তু তাঁর পাশেই হজরত মুহম্মদের মায়ের নাম বলতে না পেরে লুটিয়ে পড়েন এক ভারতীয় | তবে তিনি আহত হয়েছেন না প্রাণ হারিয়েছেন, তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি | আল কায়দা ঘনিষ্ঠ এই জঙ্গিদের হানায় দুই ভারতীয়-সহ ৬৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন | আহত ২০০ জনের মধ্যেও আছেন চারজন ভারতীয় | তাঁদের মধ্যে দুজন মহিলা এবং একজন বালিকা | অন্তত ঈশ্বরের নামে জোরে জোরে চিৎকার করতে করতে নীরিহ মানুষ হত্যা করতে শিখিনি আমি । অন্যের উপাসনালয় ভেঙ্গে বা দখল করে আমার ঈশ্বরের মন্দির গড়তেও শিখিনি আমি । ভিণধর্মি নারীকে ফ্রি ভোগ করবার অনুমতি দেয়নি আমাকে আমার ঈশ্বর । আমার ধর্মগুরুরা সহস্র মানুষের সামনে আমার ধর্মানুষ্ঠানে অন্যধর্মীদের গালিগালাজ করে না, আমাকে গালিগালাজে উৎসাহও দেয় না । আমি যখন প্রার্থণা করি, সমগ্র পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীকুলের জন্য প্রার্থণা করি ।শুধুমাত্র নির্দিষ্ট এক সম্প্রদায়ের জন্য প্রার্থণা করে আজন্ম সাম্প্রদায়িকতালালন করি না । কাউকে জোর করে ধর্মান্তর করবার মত কুমন্ত্রও শেখানো হয়নি আমায় । শুধুমাত্র হিন্দু বলে যা যা করিনা আমি, যা যা শিখিনি তার জন্য নিশ্চিত করেই গর্বিত আমি । নিশ্চিত করেই হিন্দু পরিবারে জন্মেছি বলে এতগুলো অপকর্ম আমাকে স্পর্শ করবে না কোনদিন.

No comments:

Post a Comment