হিন্দু ধর্ম কি ধোয়া তুলসী পাতা নাকি! সতীদাহ প্রথা থেকে শুরু করে বাল্য বিবাহ কি না ছিল! কিন্তু সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে কু প্রথা গুলি দূর হয়েছে ।আমাদেরও এক সময় সংস্কৃত টোল ছিল, পড়াশোনার পাশাপাশি সংস্কৃত শেখানো হত। কালের নিয়মে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কবেই লুপ্ত হয়ে গেছে । না হলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা যেত না । কিন্তু মুসলমানদের মধ্যে এখনও সেই মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা, আরবী ফার্সি ধর্মীয় শিক্ষা । কি কাজে আসছে এসব কে জানে! সীমান্তবর্তী এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠছে অনুমোদন হীন মাদ্রাসা, সন্ত্রাসের আঁতুড় ঘর। ভারত নাকি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ , এত স্কুল কলেজ থাকতে শুধু মুসলমানদের জন্য আলাদা করে কেন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মাদ্রাসা চলবে? কেউ এ প্রশ্ন করবে না কারণ মুসলিম ভোট ব্যাংক ।
একসময় হিন্দুদের ঘরেও সাতটা আটটা করে বাচ্চা হত, এখন একটার জায়গায় দুটি হলেই মানুষ করার চিন্তা এসে যায় । কিন্তু এখনও মুসলমানদের ঘরে আটটা দশটা করে বাচ্চা । ওদের মেহফিলের শেষ কথাই থাকে - যত পার বাচ্চা পয়দা করার জন্য, আল্লাহই ব্যবস্থা করবেন । কেন ধর্ম নিরপেক্ষ ভারতে সবার জন্য এক ও অভিন্ন আইন হবে না? আইন করে দেওয়া হোক একটির বেশি বিয়ে এবং দুটির বেশি বাচ্চা এদেশে হতে পারবে না, কারোরই না । কিন্তু এটা করতে গেলেই তো মুসলিম ভোটের জন্য সবাই রে রে করে তেড়ে আসবে । কিন্তু এভাবে যে মুসলমান সমাজ পিছিয়ে পড়ছে এ নিয়ে তথাকথিত মুসলিম দরদীদের কোন মাথাব্যাথা নেই, চাই শুধু ভোট । এভাবে তো দেশও পিছিয়ে পড়ছে। আর মুসলিমদের কাছে তো কোরানের বাণী অমোঘ, কোনো সংস্কারের প্রশ্নই নেই । এখন আবার পিছিয়ে পড়ার জন্য সংরক্ষণের দাবিও তোলা হচ্ছে, হয়তো মেনে নেয়াও হবে, ভোটই তো সব । কিন্তু মুসলমানদের পিছিয়ে পড়ার জন্য কি রাষ্ট্র বা সংখ্যা গুরু হিন্দুরা দায়ী? ভারত তো আর বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মত নয়, এদেশে যোগ্যতা থাকলে যে দেশের সর্বোচ্চ পদ রাষ্ট্রপতি, পরমাণু প্রধান থেকে শুরু করে জাতীয় দলের অধিনায়ক সবই হওয়া যায় - এর ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত আছে ।
No comments:
Post a Comment