শুনলাম চেন্নাই-এ মসজিদ থেকে শুদ্ধ পানীয় জল বিতরণ হচ্ছে৷ এই খবর বড় করে প্রচার করে যারা বোঝাতে চাইছেন ইসলাম উদার এবং মানবিক, আর তালিবান-আই এস সহিহ ইসলাম নয়, তাদের অনুরোধ করব কোরান আর হাদিস পড়ে সহিহ ইসলামকে জানুন৷ এদের সমস্ত মানবিকতা আর সহমর্মিতা নিজেদের বিরাদরির মধ্যেই প্রযোজ্য৷ ইসলাম বহির্ভূতদের প্রতি আছে শুধু ঘৃণা৷
হ্যাঁ, এখনই বলবেন সব মুসলমান কি আর কোরান-হাদিসের সমস্ত কথা মানতে বাধ্য! নিশ্চই বাধ্য৷ আজ না হোক কাল, ভক্তিতে না হোক ভয়ে সবাইকে মানতেই হবে৷ না হলেই হুমায়ুন আজাদ, না হয় ওয়াশিকুর বাবু! নিদেন পক্ষে তসলিমা তো বটেই৷
মুসলমানদের মধ্যে যারা স্বাধীন চিন্তার অধিকারী, তাদের কোন সম্মান নেই, সামাজিক স্বীকৃতিও নেই৷ তারা সমাজে কল্কে পায় না৷ তাদেরকে আমরা, হিন্দুরাই বরং তাদের প্রাপ্য সামাজিক স্বীকৃতি ও সম্মান দিয়ে থাকি৷ তাই আসফাকুল্লাকে ওরা যত না স্মরণ করে, আমরাই তার থেকে বেশী করি৷ করাই উচিত৷ আব্দুল কালামের ক্ষেত্রেও তাই৷
কিন্তু মুসলিম নেতা এবং ধর্মগুরুরা যখন মানবিকতা, সহমর্মিতা, দেশপ্রেম ইত্যাদি ভাষণ ঝাড়ে, তখন আমার সেই 'ট্রোজান হর্স'-এর কথা মনে পড়ে৷ আল তাকীয়া - অমুসলমানদেরকে নিজেদের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিভ্রান্ত করে রাখা - এটাও ইসলামেরই শিক্ষা৷
তাই যেদিন নোয়াখালির নৃশংসতা আর গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং সংঘটিত হয়েছিল, সেদিনও মুসলিম সমাজের অন্তর্ভূক্ত সহিহ লিবারালদের কথা হিন্দুর আর্তনাদে আর নারায়ে তকবীর হুঙ্কারের তলায় চাপা পড়ে গিয়েছিল৷ আর সম্প্রতি কালে সংঘটিত বাংলার দেগঙ্গা-নলিয়াখালির ঘটনার সময়ও তাদের আওয়াজকে (আদৌ উঠেছিল কি না জানিনা )কেউ পাত্তা দেয় নি৷
সুতরাং ট্রোজান হর্স দেখে প্রলুব্ধ হবেন না৷ আর নিশ্চিত থাকুন, মুসলমানদের মধ্যে সহিহ মানবতাবাদীরা আপনাদের বাঁচাতে পারবে না, কারণ তাঁদের নিজেদের অস্তিত্বই এখন বিপন্ন! তাই দয়া করে ব্যতিক্রমী কিছু ঘটনার উদাহরণ দিয়ে হিন্দুদের বিভ্রান্ত করে শীতঘুমে আচ্ছন্ন করে দেবেন না৷
No comments:
Post a Comment