Sunday, 20 December 2015

এখনো কি ঘুমাবেন?

এখনো কি ঘুমাবেন? ★ গতকাল অর্থাৎ 18/12/2015 তে ফুরফুরা শরিফে এক সভা আমার মতো একজন সাম্প্রদায়িক মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। ফুরফুরা শরিফের পীরযাদা ত্বহা সিদ্দিকি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর উপস্থিতির কিছুক্ষণ আগে তার ভাষণে যা বললেন তা বাংলার জন্য কিন্তু মোটেই সুখকর নয়। কি বললেন ত্বহা সিদ্দিকি ফুরফুরা শরিফে, (যে শরিফে চাদর চাপাতে হিন্দুরাও লাইন দেয়) যা সবার কাছে রাজনৈতিক মনে হলেও সময়ের এই পটভূমি তে আমার কাছে ভয়ংকর মনে হয়েছে...? ত্বহা সিদ্দিকি বললেন, যে এই রাজ্যের 48 টা বিধানসভার ভাগ্য তিনি গড়ে দিতে পারেন,মানে 48 টা বিধানসভা তার কন্ট্রোল করার ক্ষমতা আছে। তিনি আরো বললেন যে, তিনি CPIM, TMC, CONG কারোর গোলাম নন, তিনি তার কৌম এর গোলাম, মুসলিম দের বঞ্চনা করার জবাব তিনি দেবেন, কলকাতায় তিনি কিছুদিন পরে বোঝাতে পারেন তার ক্ষমতা। এবার বসুন ভাবতে, কোন কোন 48 টা বিধানসভা..? যার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা আর আমাদের হাতে নেই, আমাদের মানে শান্তিপ্রিয় হিন্দু বাঙ্গালির হাতে নেই, ভাবুন ভাবুন..... না, এটা কোনো ফাঁকা বুলি ভাববেন না। কারন, তার কিছু পড়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী মাথায় হিজাব দিয়ে পুরো দস্তুর খালেদাজিয়া স্টাইলে মাথা নেড়ে নেড়ে তার ভাষণে বুঝিয়ে দিলেন যে ত্বহা ঠিক। কারন, উনি স্বীকার করলেন যে তাদের জন্যই আজ TMC ক্ষমতায় এসেছে। এবার ভাবুন... আরে হ্যাঁ আপনাকেই বলছি। 48 টা বিধানসভায় আমরা আস্তে আস্তে শেষ হয়ে গেছি, যার জন্য এত দম্ভ একজন পীরযাদার.. এবার ভাবুন, যদি আপনার বিধানসভা ওই লিষ্টের মধ্যে থাকে... তাহলে আপনার বাড়ির সবার নিয়ন্ত্রণ কিন্তু এদের হাতেই হবে। আর এদের হাত ধরে আসা সরকার এদের বিরুদ্ধে কিছুই করবে না। মাজারে গিয়ে খুব মাথা ঠুকেছিলেন তো...? চাদর চড়িয়ে ছিলেন তো...? এবার নিজের বাড়ির লোকেদের জন্যও চাদর কিনে রাখুন, রঙ টা সাদা হতে হবে।কারন, যে ভাবে জেহাদি আর আইএস আইএস এবং আইএস আই এর প্রীতি বাড়ছে এখানকার বেশকিছু এলাকায় তাতে যে কোনোদিন ওই চাদরের দরকার পড়বে দাহ করার আগে। খারাপ লাগলো তাই না...? তবু তো বললাম দাহ করার কথা। গ্রেটার ক্যালকাটা কিলিংস এর পর প্রচুর দেহ দাহ তো দূর শকুনে-চিলে-কাকে-কুকুরে ছিঁড়ে শেয করেছে। নোয়াখালী র মাটির তলায় কত যে পচে যাওয়া হিন্দুর শরীর পোকায় পরিণত হয়ে হারিয়ে গেছে, তা কল্পনা করতেও মন বিষিয়ে যায়। ভাবুন আপনার ওপর নেমে আসবে একের পর এক ফতোয়া... না,না, আপনার জানা বন্ধু বা পরিচিত কেউ দেবে তা বলছিনা, কিন্তু সেই বন্ধু বা পরিচিত আপনাকে বা আপনার পরিবার কে সেই ফতোয়া থেকে বাঁচাতেও পারবেনা। কারন, বাংলাদেশ, কাশ্মীর সব জায়গায় তাই হয়েছে। পাশের বাড়ির গফুর মিঞা, যার কোলে চড়ে গোটা এলাকা দাপিয়েছিলো যে ফুটফুটে মেয়েটা তাকেই যখন তুলে নিয়ে গেলো, জেহাদিরা গণিমত এর মাল বলে গফুর মিঞা কিন্তু চুপ, কারন প্রতিবাদ করার অর্থ কাফের হওয়া। আর ধর্মচ্যুত গফুর মিঞা রা হতে চাইবে না। তাই, মেয়েটা চলে গেল। আর যে বাড়িটায় সবাই মিলে আনন্দে হই হই করতো যা স্বপ্নের রাজপ্রাসাদ ছিলো, জেহাদি দের তাড়ায় পালানোর আগে গফুর মিঞাকে চাবি দিয়ে অনুরোধ করেছিলো কাতর স্বরে, "মিঞা বড় কষ্টের সম্বল এই ঘরটা দেখো, পরে পরিস্থিতি ঠিক হলে আসবো"। কালক্রমে পরে ফিরে দেখলো গফুর মিঞা তার ঘর দখল নিয়ে নিয়েছে আর ফিরে আশাহত লোকটিকে বলছে,"এখানে এসো না, বিপদ আছে, লোকজন ভালো নয়, আমি তোমায় এই ঘরের জন্য পরে কিছু দিয়ে দেবো।" কিন্তু সেই পর টা আর আসবেই না। এবার নিজেকে বসান ওই জায়গায়। কি মজা লাগছে না....? এটা বাস্তব, বাংলাদেশের এক ঘরের কথা কাল আপনার আমার কথাও এই হবে। ত্বহা সিদ্দিকির কথা হাল্কা করে নেবেন না, মনে রাখবেন সাপ কে দড়ি ভাবার চেয়ে ভালো দড়িকে সাপ ভেবে সাবধান হওয়া। তাতে মড়ার চান্স কম। একটা জিনিষ ভালো করে ভাবুন, এত দম্ভ ওদের এই জন্যই হয় কারন ওদের কাছে নিজের ধর্ম আগে আর আমরা CPIM-TMC-CONGRESS এর সাথে থেকে এদেরই উৎসাহ দিয়ে চলেছি। গোরু খেয়ে হিন্দু নেতারা প্রমাণ দেয় তারা তাদের পাশে তৈরি আছে, হিজাব পড়ে আর রোজা রাখার নাটক করে, বুঝিয়ে দেয়, চালাও যা ইচ্ছে আমি আছি, রক্ষাকর্ত্রী। আর আপনি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো হাততালি দিচ্ছেন, আর মেয়ে সাইকেল পায়নি কেন. তা ভুলে সভায় খুদা হাফিজ শুনে আর গোরু খেকো কমরেডস দের ভাষণ শুনে, আমাদের - চাড্ডি চাড্ডি, হনুমানের দল, গোরুর বাচ্চা বলে খুশী হয়ে শুয়ে পড়ছেন। কিন্তু মনে রাখবেন, বাংলাদেশে কোনো চাড্ডি নেই তাই ওখানে হিন্দুও প্রায় নেই। গোরুর বাচ্চা নেই, তাই হিন্দু দের পূজার স্থলের নিরাপত্তাও নেই। ওখানে হনুমানের দল নেই, তাই ওখানে আজ ওখানে মা-বোনেদের নিরাপত্তাও নেই। ভাবুন তোষণের বিষাক্ত ফল আপনার জন্যই এরাজ্যে বেড়ে চলেছে আর আপনি নিজের হাতে খাদ্যশস্য পুড়িয়ে দিচ্ছেন। তাই শেষে আপনাকে ওই ফল খেতেই হবে, আর রাস্তা নেইইইই। তাই জাগুন, আজ থেকেই উঠে দাঁড়ান, হিন্দুস্থানের কোনো বিধানসভা র নিয়ন্ত্রক যেন কোনো সিদ্দিকি হতে না পারে তার জন্য এক হন। আমার এইই পোষ্ট যদি মনে লাগে শেয়ার করে দিন, আর না লাগলে ডিলিট করে দিন। শেষে আবার জানাই, সময়ের পটভূমি তে ফুরফুরা শরিফের এই সভার কথা কিন্তু চিন্তাজনক। ধোঁয়া উড়ছে মানে আগুন কোথাও জ্বলছে হয়তো ছাই চাপা আছে এখনো কিন্তু ছাই সরে আগুন লাগতে কতক্ষণ.....? ভালো থাকুন, এই পেজের নামে রিপোর্ট চলছে পারলে লাইক দিয়ে লাইফ দেবেন, নয়তো চুপ হয়ে যাবে... এই কমুনাল পেজ। সুখে থাকুন.... রুদ্র প্রসাদ ব্যানার্জ্জী। https://m.facebook.com/hindu.yoddhablog/photos/a.536050066543316.1073741827.536026079879048/565174026964253/?_e_pi_=7%2CPAGE_ID10%2C3095782935

No comments:

Post a Comment