কুরান যদি আল্লাহর বানী হত তবে তো তা একবার বর্ষিত হওয়ার পর আর পরিবর্তণ হওয়া কোনমতেই সম্ভব নয় ? অথচ কুরানের একেক জায়গায় একেকভাবে সেগুলি বদলেছে। কুরানের এতগুলো বিভ্রান্তিমুলক স্ববিরোধিতা কিভাবে আল্লাহর বানী হতে পারে ? প্রশ্ন ১. মানুষের প্রান হরন করে কে ? - একজন ফেরেস্তা (কুরান 47:27) নাকি আল্লাহ (কুরান ৩৯:৪২) ! প্রশ্ন ২. ইসলামে কি ভিন্ন ধর্মালম্বিদের ওপর বল প্রয়োগ করা যাবে ? – না (কুরান ২:২৫৬) এবং হ্যা (কুরান ৯:২৯)
প্রশ্ন ৩. মুসলিম আর অমুসলিমরা কি একই ঈশ্বরের প্রার্থনা করে ? – না (কুরান ১০৩:১-৩) এবং হ্যা (কুরান ২৯:৪৬) প্রশ্ন ৪. আল্লাহ কি কারো সাথে সরাসরি কথা বলেন ? – না (কুরান ৪২:৫১) এবং হ্যা (কুরান ২:২৫৯, ৪:১৬৪) ! প্রশ্ন ৫. আল্লাহ কি তার সাথে শিরককারীদের ক্ষমা করে দেন ? – না (কুরান ৪:৪৮) এবং হ্যা (কুরান ৪:১৫৩) !
প্রশ্ন ৬. আল্লাহ কি আসলেই দয়ালু এবং ক্ষমাশীল ? – হ্যা (কুরান ১:৩) এবং না (কুরান ৪:৫৬) !
প্রশ্ন ৭ মহাকাশ এবং পৃথিবী তৈরিতে মোট কত দিন ব্যয় হয়েছে ? – ছয় দিন (কুরান ১০:৩) নাকি মোট আট দিন (কুরান ৪১:৯) !
প্রশ্ন ৮. কুরান কি সহজ বোধ্য ? – হ্যা (কুরান ৫৪:১৭ , ১১:১) এবং না (কুরান ৩:৭) !
প্রশ্ন ৯. আল্লাহ কি তার কথার পরিবর্তন করেন ? – না (কুরান ১০:৬৪) এবং হ্যা (কুরান ২:১০৬, ১৬:১০১) ! প্রশ্ন ১০. মক্কার পৌত্তলিকদের মাঝে কি কোন নবী পাঠানো হয়েছিল ? – হ্যা (কুরান ১০:৪৭) এবং না (কুরান ৩৪:৪৪) !
প্রশ্ন ১১. ফেরাউন কি মারা গিয়েছিল ? – না (কুরান ১০:৯০, ১০:৯২) এবং হ্যা (কুরান ১৭:১০২-১০৩) ! প্রশ্ন ১২. গর্ভে ধারন আর লালন-পালন করতে কত সময় গিয়েছিল ? – ৩০ মাস (কুরান ৪৬:১৫) নাকি ২৪ মাস (কুরান ৩১:১৪) ?
কুরানের এতগুলো বিভ্রান্তিমুলক স্ববিরোধিতা থেকে কি প্রমানিত হয় ? কোরান আল্লাহ এর বানী নাকি অন্য কোন ব্যাক্তি রচিত? আল্লাহ কি এমন বিভ্রান্তি মুলক তথ্য দিতে পারে বলে আপনি বিশ্বাস করেন ?(কুরান ৪:৮২) তে আল্লাহ পরিস্কার করে বলেছেন যে তার কোরানে বৈপরিত্য বা ভুল বিভ্রান্তি নেই !! কোথায় গেল আল্লাহ পাকের সেই চ্যালেন্জ? এবার আসি হাদিসে। তথ্য ১:
সঙ্গম কালে ইনশাল্লাহ বা আল্লা চাহে তো বলিলে পুত্র সন্তান জন্ম নিবে।
(Sahih Bukhari 4:52:74)
তথ্য ২:
মায়ের পেটে, সন্তান প্রথম ৪০ দিনে বীর্য হিসাবে থাকে, তার পরের ৪০ দিন রক্তের জমাট গোলা হিসাবে থাকে তার পরের ৪০ দিন মাংসপিণ্ড হিসেবে থাকে।
(Sahih Bukhari 4:54:430)
তথ্য ৩:
গর্ভ ধারণের ৮০ দিন পড়ে গর্ভের শিশু পুরুষ না মহিলা তা নির্ধারিত হয়। (Sahih Bukhari 8:77:594)
আর নাস্তিক বিজ্ঞানীরা বলে বেড়ায়, গর্ভধারণের সময় নাকি বাচ্চা ছেলে না মেয়ে, তা নির্ধারিত হয়ে যায়। যতসব মূর্খ বিজ্ঞানীর দল।আপনারাই বলুন, আল্লা- রাসুলের থেকে বেশি কি কারো পক্ষে জানা সম্ভব?
তথ্য ৪:
কেহই জানে না গর্ভস্থ শিশু ছেলে না মেয়ে।
(Sahih Bukhari 2:17:149)
আলট্রাসাউন্ড টেকনোলজি আসলে শয়তানের হাতিয়ার। ইমান আকিদা থেকে দুরে সরানোর জন্য নাস্তিক বিজ্ঞানীরা এসব বানিয়েছে। তথ্য ৫:
জন্মের পরে শিশু কাঁদে যদি শয়তান এসে তাকে স্পর্শ করে।
(Sahih Bukhari 4:54:506)
তথ্য ৬:
জন্মদাগ হয় অভিশাপ থেকে, জাদু টোনা থেকে।
(Sahih Bukhari 7:71:635)
তথ্য ৭:
হাই তোলা শয়তানের কারসাজি। আর কেউ যদি হাই তোলার সময় শব্দ করে শয়তান নাকি খিকখিক করে হাসে। (Sahih Bukhari 4:54:509)
তথ্য ৮:
বেশি ঘুমের কারণ হল, শয়তান যখন কানে হিসু করে।
(Sahih Bukhari 2:21:245)
তথ্য ৯:
অমুসলিমদের অন্ত্র(intestine) সাতটি আর মুসলিমদের একটি।
(Sahih Muslim 23:5113)
তথ্য ১০:
মহিলাদের বুদ্ধি কম।
(Sahih Bukhari 3:48:826)
তথ্য ১১:
সূর্য নাকি আল্লার আরসের নিচে অস্ত যায়।
(Sahih Bukhari 4:54:421)
তথ্য ১২:
আদম নাকি ৯০ ফুট লম্বা ছিল। (Sahih Bukhari 4:55:543)
ফসিল রেকর্ড বলুন, মামিফাইড বডি বলুন কিংবা ন্যাচারালি অক্ষত থেকে যাওয়া গুহামানবদের শরীর বলুন, কোথাও কি এরকম কিছু কেউ পেয়েছে?
তথ্য ১৩:
সূর্য নাকি অস্তমিত অবস্থায় মানুষের মত সেজদা দিয়ে থাকে।
(Sahih Muslim 1:297)
ReplyDeleteঅত্যন্ত্য হাস্যকর!
তথ্য ১৪:
সূর্য নাকি শয়তানের দুই শিং এর মাঝখান দিয়ে ওঠে।
(Sahih Muslim 4:1807)
তথ্য ১৫:
চাঁদের আলো আছে।
(Sahih Bukhari 4:54:422)
দুঃখের বিষয়, মুহাম্মাদ বিজ্ঞান তো দুরের কথা, প্রাইমারি ইশকুলেও পড়েন নি। পড়লে দ্বীনের নবী, প্রেমের নবী, যে কিনা সকল জ্ঞানের অধিকারী, এরকম আজগুবী কথা বলতেন না।
তথ্য ১৬:
সূর্যগ্রহণ দিয়ে আল্লাপাক তার উম্মতদের ভয় দেখান।
(Sahih Bukhari 2:18:158)
তথ্য ১৭:
পাহাড়ি ছাগল আছে সাত আসমানের উপড়ে। যাহা কিনা ৭১, ৭২ অথবা ৭৩ বছর দুরে।
(Abu Dawud 40:4705)