Tuesday, 8 December 2015

মুসলমান জিহাদ করে কেন?

মুসলমান জিহাদ করে কেন? সহজ এবং একমাত্র উত্তর - আল্লা আর নবীর আদেশ আছে, তাই। আল্লা-নবীর নির্দেশ না থাকলে তালেবান বা আইএস-এর জন্ম হতো না। এই সমস্ত সংগঠন গড়ে উঠে সমগ্র বিশ্বকে ইসলামী ছায়াতলে আনার ঐশী নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য। মুসলিম-অমুসলিম অনেক জ্ঞানী-গুণী মনীষী বোঝাতে চেষ্টা করেন, জিহাদের অর্থ খুন-ধর্ষণ নয়, নফসের সাথে যুদ্ধ করা। অন্তরের কালিমার সাথে যুদ্ধ করে নিজেকে শুদ্ধ করার নাম জিহাদ। বেশ সুন্দর অর্থ। বেশ আধ্যাত্মিক ভাব আছে। কিন্তু যদি মহানবীর আমলের দিকে আবার ফিরে তাকাই? সে এবং তার সাহাবারা কীভাবে নফসের সাথে যুদ্ধ করেছে? কীভাবে নিজেরা শুদ্ধ হয়েছে জানার জন্য? অসংখ্যবার তারা তাদের তলোয়ার রাঙিয়েছে মানুষের রক্তে। হাজার হাজার নারী এবং শিশুকে দাস বানিয়েছে। নিত্য নতুন যৌনদাসী ভোগ করতে পেরেছে। একের পর এক যুদ্ধ আর লুট করেছে। মক্কা-মদিনা কাফের-শূন্য করেছে। এই হচ্ছে প্রকৃত জিহাদ। আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতা লাভের জন্য যে-যুদ্ধ, তার জন্য কি আল্লা কোরআনে ধমকিয়েছে মুসলামদের তাদের সম্পদ জিহাদের রাস্তায় ব্যয় করার জন্য? আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতা লাভের জন্য কি দুধের ড্রেইন, সুমিষ্ট পানির ড্রেইন, মদের ড্রেইন আর পতিতালয়ের লোভ দেখাতে হয়? আধ্যাত্মিক জগতে নিমগ্ন কোনো ব্যক্তির কি পরস্ত্রী দেখলেই সেক্স করার ইচ্ছে জাগে? আধ্যাত্মিকভাবে উন্নত কোনো ব্যক্তি কি পারে অন্যের পূজার মূর্তি ভাঙতে? অন্যের ঈশ্বরকে অপমান করতে? জিহাদের অর্থ এবং জিহাদের নির্দেশ মুসলমানের কাছে খুব স্পষ্ট। সারা বিশ্বে আল্লার আইন প্রতিষ্ঠা করার নাম জিহাদ। আল্লার আইন প্রতিষ্ঠা করার জন্য শাসনব্যবস্থা মুসলমানের হাতে আসা প্রয়োজন। শাসনক্ষমতা নিজের দখলে আনার জন্য প্রয়োজন খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, ভয় দেখানো। ইসলামী জঙ্গিরা তাই করে যাচ্ছে। ধরুন, আপনি কোনো বাচ্চাকে বললেন বাগানটা পাখিশূন্য করতে এবং এর জন্য যা কিছু করা হবে, তার সব কিছুকে আপনি বৈধ করে দিলেন। বাচ্চাটি তখন অনেকগুলো পদ্ধতি অনুসরণ করবে। সে গুলতি দিয়ে মারবে, ঢিল ছূড়ে তাড়াবে, গাছে আগুন লাগিয়ে দিতে পারে, পারলে এয়ার-গান নিয়ে আসবে। "যা পাখি ঊড়ে যা" বললেই কি পাখি উড়ে যাবে? পাখিশূন্য না করা পর্যন্ত সে তার কাজ চালিয়ে যাবে। তাকে থামানোর জন্য দু'টি পথ খোলা থাকে। আপনি যদি আপনার নির্দেশ তুলে নেন অথবা বাচ্চাটি যদি বুঝতে পারে, সে যা করছে তা অন্যায় এবং আপনার নির্দেশ অমান্য করে। জিহাদের হাজারটা অর্থ বের করে, হাজার মাইল ত্যানা পেঁচিয়ে দুনিয়ার কী উপকারটা হবে? কোরআন-হাদিস রিভাইস করা সম্ভব নয়। মুসলমানদেরকে তাদের হাদিস-কোরআনের নির্দেশ অমান্য করতে হবে। বিবেকবান হওয়াতে, মানবিক মানুষ হওয়াতে কোনো পাপ নেই। মুসলমানের উচিত একসাথে এক সিদ্ধান্তে আসা যে, তাঁরা জিহাদকে অস্বীকার করে। জিহাদকে অস্বীকার না করা পর্যন্ত বিশ্ব ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদমুক্ত হবে না। লিখেছেনঃ পুতুল হক

1 comment:

  1. www.dhormocery.com https://m.facebook.com/hindu.yoddhablog/photos/a.536050066543316.1073741827.536026079879048/561267980688191/?_e_pi_=7%2CPAGE_ID10%2C2977099602

    ReplyDelete