ইসলামে মুর্তিপুজা নিষিদ্ধ.. তাই তারা হিন্দুদের মুর্তিপুজাকে 'পুতুল পূজা' বলে উপহাস করে ও বিভিন্ন রকম তির্যক মন্তব্য করতে থাকে..।।
না না, এটা মৌলবাদী মুসলমানরা শুধুমাত্র করে না , ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী যে কোনো মুসলমানই হিন্দুদের মূর্তিপূজাকে, পুতুল পূজা বলে.. এটা সম্পূর্ন সহিষ্ণুতা.. কিন্তু কমলেশ তিওয়ারি মোহাম্মদ সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করলেই সেটা অসহিষ্ণুতার মধ্যে পড়ে যায়.. ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের এরকম দ্বিচারিতা কেন বুঝিনা..।
টলিউড অভিনেত্রী Ena Saha গতকাল একটি কালী মায়ের ছবি শেয়ার করেছেন তার পেজে, একবার গিয়ে দেখে আসুন 'শান্তির ছেলেরা' কিরকম অশ্লীল গালাগাল করেছে..। হাতে নাতে প্রমান পেয়ে যাবেন যে ইসলামের সাথে অন্য ধর্মের সহাবস্থান কেন সম্ভব নয়..।।শান্তির ধর্ম বলে কথা, অন্য ধর্মকে গালাগাল দিয়েই আসল শান্তি।।
হিন্দুদের ধর্মগ্রন্হবেদে মুর্তিপুজা নিষিদ্ধ / ভগবত গীতার চাপ্টার নং ৭ ভারস নং ২০এ বলা হয়েছে যাদের বুদ্ধি জাগতিকলোভে লোপ পেয়েছে তারাইমুর্তিপুজা করে / ঈশ্বেরর আকৃতি দেখা যায়না এবং তাকে কেউ চোখে দেখতে পায় না ( উপনিষদের(সবেতা সাত্র) চাপ্টার নং ৪ ভারসনং ২০) ঈশ্বরের কোন ইমেজ বা প্রতিচ্ছবি নেই(অযুরবেদ চাপ্টার নং ৩২ ভারস নং ৩) তারা অন্ধকারে প্রবেশকরেছে যারা বায়ু .পানি . আর আগুনের মত প্রাকৃতিক জিনিসের পুজা করে . আর তারা আরও অন্ধকারে প্রবেশকরেছে যারা সৃষ্ট জিনিসের পুজা করে( অযুরবেদ চাপ্টার নং ৪০ ভারস নং ৯ ) ঈশ্বর ঈশ্বরের মত .তার মত আর কেউ নেই( উপনিষদের (সাবেত্রা সাত্রা )চাপ্টার নং ৪ ভারস নং ১৯ ) ঈশ্বর ছাড়া আর কারো ইবাদতকরা যাবে না ( রিকবেদ বই নং ৮ হাইমনং ১ ).
ReplyDeleteদলবাজী সম্বন্ধে কোরান কি বলে --
ReplyDelete৩০: ৩১,৩২ - সবাই তাঁর (আল্লাহ্র) অভিমুখী হও এবং ভয় কর , নামাজ কায়েম কর এবং মুশরীকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। (মুশরীক তারাই) যারা তাদের ধর্মে বিভেদ সৃষ্টি করেছে এবং অনেক দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে উল্লসিত।
গীতায় উল্লেখ আছে- উত্তরাম যৎ সমুদ্রস্য হিমাদ্রেস্যই দক্ষিনম বর্ষমতদ ভারতনাম ভারতী যত্র সন্ততী = যাহার অর্থ হইল ভারত উপমহাদশেরে সিন্ধু প্রদেশে প্রথম যে ধর্মের আবিষ্কার হয় তাহার নাম সিন্ধু ধর্ম যা পরবর্তীতে বিকৃত হয়ে হিন্ধু ধর্ম হয়। যেই ধর্মের সৃষ্টি হওয়ার পর ধর্মের নাম করন করা হয় দেশের নামে সেটা কিসের ধর্ম।
ReplyDeleteআর একটি কথা না বললেই নয় মুর্তিপূজার কথা গীতার কোথায় লেখা আছে কে বলতে পারবেন, বলতে পারবেন না কারন গীতার কোথাও মুর্তিপূজার কথা লেখা নাই। হ্যা গীতায় বলা আছে চিন্ময়স্যা দ্বিতীয়স্য নিষ্কলস্যা শিররীন উপাসাকালয় কার্য্যথং ভ্রঋমনও রুপকল্পনা যাহার অর্থ হইল নিরাকার রুপের চাইতে সাকার রুপের পূজা কার্যকর আবার এর ব্যাক্ষায় বলা যায় নিরাকার তোমার বাবা আর সাকার তোমার মা কেননা তুমি যে তোমার মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নিয়েছ তা অনেকেই স্বচক্ষে দেখেছে কিন্তু তোমার বাবাই যে তোমাকে জন্ম দিয়েছে তা তোমার মা ছাড়া কেউ বলতে পারবেনা। আর তাই হিন্দুরা মুর্তিপূজা করে। কিন্তু এখানে বলার বিষয় হচ্ছে যে, মুর্তি কিভাবে সাকার হতে পারে আমার বোধগম্য হচ্ছে না।
পবিত্র গীতায় বলা আছে যা দেবী স্বর্বভুতেষ্যু শক্তি রুপেনু সংস্থিতা নমতস্যই নমো নমো নমো যাহার অর্থ হইল ঈশ্বর এক ধর্ম অনেক যদি তাই হয় তাহলে হিন্দুরা কেন ইসলাম ধর্মের উপর আঘাত হানে। আমরাতো হিন্ধু ধর্মেও উপর কোন আঘাত হানি না।