"R.S.S"- আদৌ কি? কেন? ও কি উদ্দেশ্য? (কথায় আছে- ফাঁকা কলসী বাজে বেশি- তাই পরের বার আরেএসেস 'এই' আর ওই বলে নিজেকে হাস্যস্পদ করার আগে অবশ্য পড়ুন)এক বিস্তার আলোচনা-
প্রথমে অনুরধ করবো একবার ছবিটিতে চোখ বুলিয়ে নিতে (ছবিটিতে ইতিহাসকে এক ছোট্ট পাতায় তুলে ধরা হয়েছে- আগে দেখুন তাহলে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে)
১) বাঁ দিকে উপরে- ভির সাভারকারের ছবি- স্বাধিনতা সংগ্রাম শেষে কুখ্যাত ""মৃত্যুপুরী" কালাপানি জেল থেকে ফেরত আসার পর- (মারসাই দ্বিপে ফ্রান্স এর কাছে বিখ্যাত এস্কেপ ও স্বাধিনতা সংগ্রামের এক মূল কান্ডারি)- ইনি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলেছিলেন এক আস্ফাকুল্লা ও হাতে ও গোনা ২-৫ জন ছাড়া মুসলিমরা এই দেশের স্বাধিনতার জন্য ৩ বার লড়াই করেছে- এক নিজেদের সাম্রাজ্যা বাঁচানোর সময়- সুলতান নবাব হয়ে- দুই, নিজের খালিফার জন্য- খিলাফাতের আন্দলনের সময়(কিছু মুসলিম ক্যেদির সাথে কতপকথনের পর- যখন কয়েদিরা বলে- আমরা "ইসলামের জন্য আগে লড়ব-"দেশের জন্য নয়)' এবং তৃতীয়ত- ১৯৪৫এর পরে- যখন দেশ স্বাধিন হয় হয়- ও সুযোগ দেখে 'ঝোপ বুঝে কোপ মেরে' নিজেরদের আলাদা জমি বানিয়ে নিয়ে- তাতে যে থালায় এতদিন খেল টা ফাতুক মরুক যাই হোক! দেশে শিখ ১.৮% শতাংশ- আর মুসলিম ৩৪% (১৯৪৬) কিন্তু বিপ্লবিদের মধ্যে ১৫% শিখ ও ০.৬% মুসলিম!
২) এবার পাশের দুটি ছবি- একটি ধর্মআন্তরিত গুজরাতি ব্রাহ্মনপুত্র ব্যাবসায়ি জিন্নাভাই পুঞ্জার শিয়া ধর্মাল্মবি সন্তান ও বিখ্যাত উকিল ও মুস্লিম লিগ নেতা মোঃ আলি জিন্নার এক রেডিও ভাষণে 'মুস্লিম' সম্প্রদায়কে 'লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তানের' ডাক ও আদেশ- "হিন্দু মরুক কি বাঁচুক দেখার দরকার নেই- আমরা দেশভাগ করবই"- তার পাশের ছবিটি কলকাতার রাস্তার ১৬/৮/১৯৪৬এ- যেদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রি সুরাওার্দির "হিন্দু মেয়েরা সুন্দরি তাই তাদের ধর্ষণ করাটা স্বাভাবিক"(বিশদ জানতে গুগলে দেখে নিতে পারেন) আহ্বানে ৬০০০ হিন্দু হত্যার এর ছবি একটি ইংরাজি দৈনিকে প্রকাশিত।
৩) কংগ্রেসের "ভারতীয়" সংস্কৃতির দুই প্রতিক- মহন্দাস গান্ধী ও জাওাহারলাল নেহেরু- প্রথম ছবিটি "জাতির জনক" ও "শান্তির দুত বাপুজির" "সিভিল দিসঅবেদিয়েন্স" আন্দলন চলাকালিন ইংরেজদের বিরুদ্ধাচারনের সময়কার এক ছবি- জনৈক এক মেমসাহাবের সাথে- পাশে ব্যারিস্টার নেহেরু ও "যুব সমাজের চরিত্রর আর্দশ" চাচাজির "দেশ স্বাধীনতার" পরিকল্পনায় এক সভার এক সদস্যার সাথে এক মুহুর্ত।
৪) একদম কোনায় যাকে দেখছেন- ইনি কলকাতা মেডিকাল কলেজের এক ডাক্তার- ও ১৯১০ সালে যুগান্তর বেঙ্গল ও অনুশিলন সমিতির বিপ্লবী- তথা মুস্লিম "উন্নয়ন"কারী মুস্লিম লিগের প্রতিষ্ঠার ১৮ বৎসর পর "হিন্দুত্বা রক্ষার" স্বার্থে নির্মিত আর.এস.এস তথা রাষ্ট্রীয় স্বাংসেবক সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা মারাঠি কেশভরাউজি।
৫) নিচে বাঁদিকে এবার আসুন- বিভক্ত ভারতের ও "সম্প্রিতিতে ও এক বাংলা" প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী মুজিবুর রহমানের 'গনতান্ত্রিক' দেশে তাঁর দল ও 'সঙ্খালঘু সচেতন' 'আউয়ামি লিগের' ছাত্রদলের এক 'কাফের' বিশ্বজিতের সাথে একটি 'সামান্য গণ্ডগোল'একটি দৃশ্য - তার নিচের নিচে দেখুন- "বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধর্ম" ও "হিন্দুরা আমাদের সাথে আনন্দে থাকতে পারে" প্রচারক পুর্ব পাকিস্তানের সেনা প্রতিনিধি "বিএনপি ঘনিষ্ঠ জমাত এ ইসলামি" সদস্যদের "দেশের গদ্দার ও শত্রু নিধনের" জন্য একটি - "সোনার বাংলার ইসলামি বীর সেনার" আল্লাহ তালার খাতিরে ৫ বৎসরের এক "সাঙ্ঘাতিক" কাফেরকে জবাই কার্জ। ঘটনাগুলি এই সময়কার- এর
মাঝখানের যে ছবিটি দেখছেন তা " নবি সাল্লালাহ রসুলের জন্য তার বীর সৈন্য" ও নির্ভীক যোদ্ধার ট্রেনের প্যাসেঞ্জার কিছু নারি পুরুষ ও শিশুর প্রতি এ কে ৪৭ রাইফেল থেকে চালান মাঝ রাতে লুকিয়ে আসা মুম্বাই প্ল্যাটফর্ম এর একটি দৃশ্য... ঘটনাগুলি সবই বর্ত্মান কালের-
৬) ডানদিকে আসুন- "ইসিসের হিন্দু ভারসেন" আরেএসেএসের একটি শাখায় কিছু কন্যা সদস্যা- আমরা ইসিস্কেও দেখেছি এইরকম ভাবে মেয়েদের সমাজসেবা- আত্মরক্ষার প্রশিক্ষন দিতে- কি দেখি নি? হুম- যায় হোক কিন্তু কিছু বিশ্ববরেন্য ও সুচিন্তাধারকের মতে ইসিস= আর এস এস- যেমন "শ্রী ওসামা বিন লাদেন জি"র প্রতি সমবেদনা প্রকাশক কংরেসি- "শিখ পুড়ালে ১০০- রেপ করলে ৫০০ কাটলে ৮০০"র সমাজসেবার অনুরধ করা 'লিবারাল' নেতাদের- বা
"মা"--কে ছেলে ধুকিয়ে রেপ করে দে-
"মাটি"-- চাপা দিয়ে মেরে ফেল বিরধিতা করলে-
"মানুষ"--এর মুণ্ডু ছিঁড়ে নে অভিযোগ করলে- ইত্যাদি শান্তিপ্রিয় "সুকুমার বৃত্তি"র বহিপ্রকাশক কিছু নেতাদের কাছে-- যায় হোক
৭) তার নিচের ছবিটি দেখুন- "মুসলিম রা সহিষ্ণু" এই বাণিতে বিশ্বাসী ও "কুরান পাকের" আয়াত রক্ষার্তে পাকিস্তানের লারকানাতে এক "দেশের বিরোধী" কিছু গরিব- দিনমজুর হিন্দুদের মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়র একটি ছবি-
বলা বাহুল্য- "মক্কা তো মুসল্মানের সেখানে অন্যরা কেন?"
"পাকিস্তান তো মুসল্মানের- আমরা তহ হিন্দু ছিলাম না- আমাদের "মুহাম্মাদ সেলিম রাজপুত"এ রাজপুত পদবি তহ আরব থেকে আসা-"
"কিন্তু অয্যোধ্যা সবার"-- এই ভ্রাত্রত্বপুর্নচিন্তাধারা থেকে রাম মন্দির ভাঙ্গার স্থানে ৪ টি মুসলিম রাষ্ট্রপ্রতির দেশ অসহিস্নু 'ভারতে'র প্রতি বদলা নিতে "কোনদিনও ভারত না দেখা" কিছু চাষা মুটেদের 'সোনার বাংলা' ও 'সারাজমিন পাকিস্তানে' মোট ২৯,৪২২ টী মন্দির ভাংল "আরব আগত" মোঃ 'হোসেন' 'করিম মণ্ডল' 'রবিউল নায়েক' 'আমির রাজপুত' 'সর্দার আলি চউহান' রা- ১৯৪৭ এ শুরু- ১৯৭১ এ পুর্ব অভিবক্ত ভারতের সবচেয়ে বৃহৎ রমনা কালি মন্দির ভাঙ্গা(কি সেটা আবার জানিউ না শুনিও নি- তবে আর এস এসের বাবরি টা কিন্তু সুনেছি)- যা ১৯৯২ থেকে এখনো একটানা বিদ্যমান।- (ঘটনাটি মনে রাখুন)
৮) বাঁ দিকে একেবারে নিচে আসুন এবার- 'শান্তির দুত' দাউদ ইব্রাহিমের 'হাফতা লিস্টে' থাকা মুম্বাই পুলিশের লোকের মতে- "বিশ্বের ১ ন। টেররিষ্ট" সংগঠন আর এস এসের কিছু 'কুখ্যাত' কাজের ছবি- যা আমরা আল কাইদা- ইসিস- বওকও হারামের কাছেউ দেখি- যেমন একটি উত্তরখান্দের বন্যার সময় ত্রাণ কার্জ- আরেকটি নেপালের ভুমিকম্পর সমইকার-
পাশের একটি চেন্নাইয়ের ত্রানের শিবিরের- ও অপরটি কিছু গরিব শিশুদের বিনামুল্যে বই খাতা দান- এই ধরনের 'আসামাজিক' কার্জকলাপ আর এস এস প্রায়শ্যি করে থাকে- আর এস এসের শাখায় প্রত্যেক সদস্যকে 'রক্তদান- বিনামুল্যে চিকিৎসা- নর নারায়ন সেবার' মত 'নিকৃষ্ট' কার্জকলাপের জন্য প্রশিক্ষণ প্রায় দেওউয়া হয়ে থাকে- যা অফিস থেকে এসে আরামসে টিভির রিমট ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খবরে 'আর এস এস মানে একটা জঘন্য' বলা বাবুদের কোনদিন জানা হয়না!
ReplyDelete৯) একদম ডানদিকে চলে যান- জলন্ত ট্রেনের যে কামরা টী দেখছেন- অটি অউ 'হুম- না কিছু না'- ওই বেশি না- ৫৯ টা লোক পুড়ে মরছিল- ও মুস্লিমউ নয়- হিন্দু- না তাহলে অত জানার কি দরকার- তবু ইচ্ছা হলে কভার পিক টা দেখে নিন- ২০০২ গুজারাত- হ্যাঁ সেই আপনার 'খবরের শ্রেষ্ঠ খোরাক' গুজরাত নিয়েই- দেখে নিন দেখে নিন কভার পিকের পোস্ট টা!!
১০) মাঝখানের একদম নিচের ছবি- হ্যাঁ এই সেই 'আর এস এসের' শাখা গুলির একটির- এখানে ভয়ঙ্কর শিক্ষা দেউয়া হয়- যেমন "কোন ধর্ম শ্রেষ্ঠ নয়- মানব শ্রেষ্ঠ- তাই আব্দুল কালাম হলেউ তাকে গলা লাগাও- কিন্তু জয় চাঁদ হলেও তাকে ত্যাগ করো!"
তারপর ধরুন- 'নিজের আত্মরক্ষা অন্যায় নয়- শ্রী কৃষ্ণ হোক বা ভাগাত সিং- নেতাজি সুভাষ হোক বা মানুষ রুপি ঈশ্বর শ্রী রামচন্দ্র- ভাল ও খারাব বিচার করার জন্যা আপনায় বেঁচে থাকতে হবে- আর কেউ যদি আপনার সামনে বলে যে- আমিই সেরা-আমার ধর্মই সেরা- কবুল কর নইলে প্রাণ দে- তখন বাধ্য হয়ে হিংসার পথ অবলম্বন করে পাল্টা হিংসা অন্যায় নয়- কারন তমার শত্রু ইংল্যান্ড আমেরিকা- ক্রিসচান বুদ্ধ শিখ জৈন শিন্ত পারসি ইহুদি সকলের কাছে এই একি আচরণ করে- তাই 'কিছু ক্ষেত্রে- পাল্টা আক্রমণ আত্মরক্ষার শ্রেষ্ঠ অবলম্বন- COUNTER OFFENCE IS THE BEST FORM OF SELF DEFENCE! ইত্যাদি...
সালটা ১৯২৫- দেশে তখন একদিকে কংরেসের সার্বভৌম নিতি- অপরদিকে মুস্লিম লিঘের গোঁড়া ইসলামি নিতি বিদ্যমান- দুই ক্ষেত্রের মাঝামাঝি অবিভক্ত বাংলা ও পাঞ্জাব এবং মারাঠা ও উত্তর বিহার/সঞ্জুক্ত প্রদেশে বিপ্লবী কার্জকলাপ তিব্র সিমায়- দেশের অধিকাংশ মানুষজন দিশাহারা- সুরাতে ১৯০৭ সালে দুই ভাগ হয় কংরেসের- এক সমাজের “বুদ্ধিজিবি” ও ইংরেজদের সাথে সুবিচারের আশা করা নরম্পন্থি- অন্য দিকে আপসহীন স্বাধীনতার দাবি করা চরমপন্থি- এরি মাঝে দেশের মানুষ বিশেষ করে তরুন সম্প্রদাই- নিজেদের আশা আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরার স্থান পাচ্ছিল না- কারন মুসলিমদের সমস্যা হলে- “শুধু মুসলিম” বলেই মুসলিম লিঘ তাদের পাশে দাঁড়াত- ও হিন্দু শিখ দের ক্ষেত্রে কংগ্রেস ‘বিশেষ ভাবে’ ধ্যান দিতে চাইত না-(পলিটিক্সের নংরামি গুলো সেই সমই থেকে শুরু যা দেখে চার্চিল বলেই দিয়েছিলেন যে এ দেশ কিছু স্বার্থপরের দ্বারা চলবে এবার থেকে ১৯৪৭ এ)- এই সময় এক তরুন ডাক্তার কেশভরাউজী- দেশ ও দেশের গরিব জনগনের সমস্যা প্রকৃত ভাবে তুলে ধরার জন্য নির্মান করেন এক সংগঠনের- নাম দেন- “রাষ্ট্রীয় স্বয়ং- সেবক সঙ্ঘ”- নাম থেকে বুঝতে পারছেন উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কি- না ‘হিন্দুদের’ বা কোন ধর্মের জন্য- “রাষ্ট্রের” জন্য- বলা বাহুল্য- কেশাভরাউ জুগান্তার অনুশিলন সমিতির সাথের কলকাতায় থাকাকালীন যুক্ত ছিলেন- তাই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, গ্রামে গ্রামে দুঃস্থ মানুষের সেবা-ও বিশেষ করে “ভারতীয় চামড়া ও ইংরেজ স্বাভাব” এর কেরানী উতপাদন কারী- লর্ড ম্যাকাউলেয়ের শিক্ষা ব্যাবস্তার সাথে- আমাদের প্রাচীন আর্জ সনাতন ও বৈদিক শিক্ষা (যেমন ভেদিক নিউমেরিকাল যা আজ ওয়াল স্ট্রিতে ব্যবহৃত)ইত্যাদির প্রচারের প্রচেষ্টা- যা ওয়িলিয়াম কেরি সাহেব শুরু করেন অনেক আগে-এই সকল আর্দশের খাতিরে এই সংগঠনের নির্মান হয়।এবং তার পুরস্কার স্বরুপ- আর এস এস “রাজদ্রোহী” রুপে ঘোষিত হয়ে ‘ব্যান্ড’ হয়ে যায়!
কিন্তু ১৯৪৬ এ কলকাতা ও নয়াখালিতে নৃশংস ৬০০০ হিন্দু হত্যা দেশে হাহাকার ফেলে দেয়-সেকুলার কংগ্রেসের শ্রেষ্ঠ আর্দশ ও পরর্বতিকালে “জাতির জনক” মহাথমা গান্ধী ৬০০০ হিন্দু লাশের সামনে ঘোষণা করেন- “মুসলিমদের পাল্টা আক্রমণ আমাদের উচিৎ নয়- হিন্দুরা শান্তিপ্রিয়- তাই তোমার এক গালে কেউ থাপ্পড় মারলে তাকে না মেরে তুমি বরং তোমার আরেকটা গাল বাড়িয়ে দাউ থাপ্পড় খাওার জন্য”- বাণীটি মহৎ- কিন্তু মাহাত্যের জন্য বাঁচতে হয়- মানবিকতা মানুষের সাথে হয়- এক দিকে এক শ্রেণী “মোরুক বাঁচুক আমরা আলাদা হবই” ভাবধারা রাখলে তাদের সাথে হয় না- এই যুক্তি দিয়ে দেশের মানুষকে এক নতুন আশার আলো দেখালেন ভির সাভারকার- যিনি লোহার রডের আঘাত ও গরম শিকের ছ্যাকার দ্বারা প্রায় অত্যাচারিত হতেন কালাপানির জেলে ইংরজদের হাথে স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালিন- যখন “আগা খান প্রাসাদে” গান্ধীজীকে ‘গৃহ বন্দি’ করে সরকার-
সাভারকারের কথায় অনুপ্রানিত হয়ে ১৯৪৭ এ বিহার দক্ষিন ও উত্তর হরিয়ানা তে হিন্দু জোয়ানেরা হাথে তলওার তুলে নেন মুসলিম লিঘের একতরফা নৃশংসতার জবাব দিতে- প্রায় ১-১.৫ লক্ষ্য হিন্দু খুন করে বাংলা ও পাঞ্জাবে তখন মুসলিম দল পাল্টা আক্রমনের আঁচ পেয়ে পিছিয়ে বসে- সহ্রাওার্দি গান্ধীজীর কাছে এতদিনে আসেন “শান্তির” আশায়(১৬/৮/১৯৪৬এ জাকে বলা হলে যে হিন্দু নারীদের ইজ্জত লোটা হচ্ছে শুনে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে জবাব দেন-“তারা তো সুন্দরি বেশি না; তাদের প্রতি আকর্ষণ হওয়া টা স্বাভাবিক”)- এই আবস্থায় প্রায় ১২-১৫ কটি হিন্দু ও শিখের প্রাণ বাঁচে আর এস এসের জন্য- আজ আমরা পশ্চিমবঙ্গ- পুর্ব পাঞ্জাব ইত্যাদি পেয়েছি আর এস এস এই সকল একদা হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকা স্থানে নিজেদের আত্মরক্ষার নিতি অবলম্বন করে তাই- বলে রাখি- “মুসলিম মণ্ডল, চউহান জাঠ রাজপুত সিং” ইত্যাদি ইত্যাদি পদবি যুক্ত ও “সংস্কৃত থেকে আশা বাংলা মারাঠি হিন্দু পাঞ্জাবি” ও উর্দু(যার ব্যাকারন হিন্দি তথা সংস্কৃত থেকে নেউয়া) ইত্যাদি যাদের মাতৃভাষা তাদেরও হিন্দু ইতিহাস একটু যাচায় করলেই বুঝতে পারা যায়- এই থেকে দেশের ‘পাল্টা আক্রমণ আত্মরক্ষার শ্রেষ্ঠ অবলম্বন’ নীতিতে ‘স্বাধীন’ ভারতবর্ষ এই বর্ত্মান আকার নেয়(সারদার প্যাটেল বেশ কয়েকটি শাখায় যান)
ReplyDeleteআজ ভারতে- সেই একি আর্দশের চলে আর এস এস-“অন্যায় যে করে ও অন্যায় যে সহে দুই যেন তারে তৃণ সম দহে”- আর এস এস ‘মসজিদ ভাংতে’ শেখায় না- শেখায় ‘নিজের বুকের উপর কাঁটা দিয়ে বিঁধে রাম্মন্দির ভেঙ্গে বাবরি বানালে- বাবরিকে সরিয়ে দিতে’(বিনা দোষে হাজার মাইল দূরে থাকা ভারতের জন্য কিছু গরীব বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি হিন্দুদের ৩২০০০ মন্দির ভাঙ্গতে নয়)- আর এস এস বলে- বন্যা ও ভুমিকম্প হলে আর্তের পাশে প্রাণ দিয়ে দাঁড়াতে- ভিদিউর সামনে গলার নালি কেটে ‘আমার ধর্ম শ্রেষ্ঠ’ বলতে নয় ইসিস ও আলকাইদার মত- আর এস এস শেখায় ‘একই বৃন্তে দুইটি কুসুম ভাগাত ও এপিজে কালাম’ শেখায় ‘নিজের মাতৃভুমি বিরোধী’ শাহরুখকে বর্জন কর- কিন্তু ‘দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া’ আব্দুল হামিদকে কোটি কোটী প্রনাম জানাও- বলে না-“গলার মুণ্ডু ছিঁড়ে নে যে বলবে না আমি সেকুলার” বলে না- “মুরগির মত পুড়িয়ে দে যদি মাথায় পাগড়ী দেখিস” বলে না-“গড ঈশ্বর বলে কিছু হই না- শুধু আল্লাহ বলে হয়” বলে- “বাসুদেভাম কুত্তুম্বাকাম- অর্থাৎ সর্ব ধর্ম সম্ভব- কারণ নদি নালা যে পথেই যাক না কেন তার গন্তব্য সেই এক মাহাসাগর- তেমনি ধর্মিয় বিশ্বাস যাই হোক না কেন- সকলের গন্তব্য এক পরমেস্বার”- আর এস এস ‘হিন্দত্ব’ প্রচার সেখায় না- শেখায় নিজের ভিটের প্রতি নুন্যত্ম কৃতগত্বা জানাতে- আর এস এস ‘হিন্দু’ বানাতে সেখায় না- সেখায় মানুষ বানাতে- আর এস এস এর মানে ‘ কোনো হিন্দুত্বা বা আল ইসলামি বা সেন্ট কিছু নয়’ আর এস এস মানে- “রাষ্ট্রবাদি”- আমাদের দেশের মাটির প্রতি যেন আমরা ঠেকায় নিজের মাথা। #RSS #Intolerance
https://m.facebook.com/hindu.yoddhablog/photos/a.536050066543316.1073741827.536026079879048/560177814130541/?_e_pi_=7%2CPAGE_ID10%2C1539982497
ReplyDelete