Friday, 4 September 2015

দুনিয়া জুড়ে ইসলামী রাজত্ব কায়েম করার জন্য একদা অনেক যুদ্ধ হয়ে গেছে।

দুনিয়া জুড়ে ইসলামী রাজত্ব কায়েম করার জন্য একদা অনেক যুদ্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে মুসলিম জাতি যুদ্ধের দিক দিয়ে সবচেয়ে দুর্বল। বিধর্মীদের আবিষ্কার করা অস্ত্র কিনে তাদের জেহাদ করতে হয়। ফলে যুদ্ধ করে দুনিয়া দখলের আশা তাদের একেবারেই নেই। কেউ যদি মনে করেন মুসলমানেরা বিজ্ঞানে এবং অস্ত্রের জোরে পিছিয়ে আছে বলেই তাদের দুনিয়া দখলের পরিকল্পনা বন্ধ আছে তবে সেটা মারাত্মক ভুল। গত পঞ্চাশ বছর ধরে ইসলামের যুদ্ধ চলছে অন্য এক পদ্ধতিতে। ঠিক যেভাবে বিধর্মীদের আবিষ্কার করা বোমা-বন্দুক দিয়ে বিধর্মী খতমের জেহাদ চলে ঠিক তেমনই বিধর্মীদের অন্যান্য অস্ত্রও তারা অতি সফলভাবে ইসলামের প্রসারে প্রয়োগ করে চলেছে। মানবতার ওভারডোজ খেয়ে নেশায় টাল হয়ে থাকা সুশীলেরা সেসব দেখলেও না বোঝার চেষ্টা করে জীবন কাটিয়ে দিচ্ছেন। অর্থ এবং অস্ত্রে আধুনিক বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলো সবই বিধর্মী-নাস্তিক ের দেশ। সেগুলোকে যুদ্ধ করে দখল করা একেবারেই অসম্ভব। অথচ দুনিয়া জুড়ে ইসলামী সাম্রাজ্য গড়তে গেলে এই দেশগুলোকে দখল করা ছাড়া উপায় নেই। তাই ঐসব উন্নত দেশের অস্ত্রেই সেই দেশগুলোকে ঘায়েল করার পরিকল্পনা চলছে। সেই অস্ত্র হল গণতন্ত্র। বহুদিন ধরেই পশ্চিমা দেশগুলোতে ইসলামী কলোনী বেড়ে চলেছে। এইসব খাঁটি মুসলমানেরা সেখানে গেড়ে বসে মসজিদ, মাদ্রাসা, বোরখা, আলখাল্লা, শরীয়া আইন ইত্যাদি বাড়িয়েই চলেছে। অথচ যেসব দেশে এইসব চালু আছে সেখানে তারা যেতেও চায় না, থাকতেও চায় না। ধর্মে পরিষ্কার নিষেধ থাকলেও কেন তারা কাফেরদের দেশে পড়ে থাকছে? তারা সেখানে কলোনী গড়ছে অন্তর্ঘাতের উদ্দেশ্যে। যেদিন ইসলামী জেহাদীরা বাইরে থেকে আক্রমণ করবে সেদিন দেশের ভিতর থেকে সাহায্য করবার জন্যই তারা কাফেরের দেশে পড়ে থেকে সংখ্যাবৃদ্ধি করে চলেছে। এই মুসলমানেরা লন্ডনে থাকুক বা ওয়াশিংটনে থাকুক, তাদের মূল উদ্দেশ্য নিজের দেশটিকে বিশ্বব্যাপী ইসলামী খেলাফতের সঙ্গে যুক্ত করা। এরপর সেখানে শরীয়া কানুন চালু করে কাফেরদের সম্পত্তি লুট করে তাদের গোলাম বানিয়ে মৌজমস্তি করা। এই পরিকল্পনার অংশ হিসাবেই ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে মুসলমান রপ্তানি করা হয়। এই রপ্তানীর একটা প্রধান উপায় হচ্ছে রিফিউজি হিসাবে আশ্রয় নেওয়া। তারা সেখানে সংখ্যাবৃদ্ধি করে গণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতা বাড়ায়, সরকারি দপ্তর থেকে পার্লামেন্ট পর্যন্ত ঢুকে পড়ে আর হজ-জাকাতের নামে সেদেশের অর্থনীতির কমিশন পাঠিয়ে চলে খেলাফতের মাস্টারমাইন্ডদের কাছে। একটা কথা মাথায় রাখা উচিত। একজন কোরান ফলোয়ার মুসলমান যদি লাথি খেয়ে ইসলামী দেশ থেকে পালিয়ে আমেরিকাতেও বাস করে তবুও দিনশেষে সে ইসলামী সাম্রাজ্যবাদেরইদালালী করবে। নিতান্তই যদি সে নিজে ভালমানুষ হয়েও থাকে, তার বংশধরদের খাঁটি মুসলিম হিসাবে তৈরী করে দিয়ে যাবে আশ্রয়দাতা দেশেরই পিঠে ছুরি মারার জন্য। মানবতার ওভারডোজ খাওয়া সুশীলেরা কেবল মাথা চুলকে চিন্তা করেন যে সৌদীর মত ধনী মুসলিম দেশগুলো কেন তাদের মুসলমান রিফিউজি ভাইদের আশ্রয় দেয় না। কেন এইসব রিফিউজিদের যেতে হয় কাফের-নাস্তিকেরদেশে! উত্তর খুবই পরিষ্কার। মুসলমান রিফিউজিকে মুসলমান দেশে আশ্রয় দেওয়া আর নিউক্যাসলে কয়লা পাঠানো সমান। এতে করে বিধর্মীদের দেশে মুসলমানের সংখ্যা বাড়ানোর কাজটা হয় না। উলটে ভিখারী খাওয়ানোতে ফালতু খরচ বেড়ে যায়। তার চেয়ে এইসব মুমিন বান্দাদের ইউরোপ-আমেরিকায় ঢুকিয়ে দিয়ে তারপর তাদের মগজ ধোলাইয়ের কাজে খরচ করলে অনেক সস্তায় বেশি কাজ হয়। এক জেনারেশনে না হলেও পরের জেনারেশনে হয়।

No comments:

Post a Comment