Friday, 4 September 2015

জিহাদ

****"জিহাদ"**** বর্তমান বিশ্বে "জিহাদ" শব্দটাকে নিয়ে জোরদার বিতর্ক চলছে। আজ সবাই জানতে চায় যে, কি এই "জিহাদ"? গোটা বিশ্বেই ইসলাম বাদে অন্যান্য সমস্ত ধর্মকে ধ্বংশ করে গোটা বিশ্বেই ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যুদ্ধ করাকে জিহাদ বলে। জিহাদে অংশগ্রহণকারী মুসলমানকে বলে মুজাহিদ বা আল্লার সৈনিক এবং বহুবচনে মুজাহিদিন। আল্লার অন্তিম ইচ্ছা হল মুজাহিদদের সাহায্যে পৃথিবীর আর সমস্ত ধর্মকে বিনাশ করে গোটা বিশ্বে ইসলামের প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠা করা। __________________________________________________ মুসলিমদের জিহাদে উদ্দীপ্ত করতে আল্লাহ আরও বলছেন, "'আল্লার দৃষ্টিতে জিহাদের সমতুল্য মহৎ কাজ আর কিছু নেই"'- 9/19 এবং 'বিশ্বাসীদের মধ্যে যারা অক্ষমতা ব্যতীত ঘরে বসে থাকে, আর যারা আল্লার পথে স্বীয় ধন প্রাণ দ্বারা জিহাদ করে তারা সমান নয়। যারা ঘরে বসে থাকে তাদের উপর জিহাদকারীদের আল্লাহ মহাপুরস্কারে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন" -4/95 __________________________________________________ "যে কোন ব্যক্তি, যার পা আল্লার পথে জিহাদ করতে গিয়ে ধূলিমলিন হয়েছে, নরকের (দোযখ) আগুন তার জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে । বোখারি শরীফ-866 (বলা যেতে পারে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে এটি একটি অভয় বানী, যেভাবে আমরা বাচ্চাদের পড়াশুনা করাতে বিভিন্ন লোভ, ভয়, অভয় দেখাই ) __________________________________________________ যে সব ব্যক্তি শারীরিক দিক থেকে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও জিহাদে যোগ না দিয়ে ঘরে বসে থাকে, আল্লা তাদের কঠোর ভাষায় তিরস্কার করে বলছেন, যদি তোমরা জিহাদে বের না হও, তবে তিনি (আল্লা) তোমাদের যন্ত্রণাপ্রদ শাস্তি দিবেন, এবং অপর কোন জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন তোমরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না" 9/39 ___________________________________________________ জিহাদে সফল হতে গেলে প্রথমেই দরকার সামরিক শৃঙ্খলা। তাই আল্লা বলছেন, "যারা আল্লার পথে সারিবদ্ধভাবে সুদঢ় প্রাচীরের মত সংগ্রাম করে, আল্লা তাদের ভালবাসেন' 61/4 (বুঝতে পেরেছেন কিছু ?? আইএস, বোকো হারাম, তালেবান, জেএমবি, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন, তালিবান, আইএস আইএস ইত্যাদি এরা কিন্তু সামরিক প্রশিক্ষিত এবং তারাই আল্লার বানী সফল করতে ব্যস্ত কিন্তু ইসলামের আসল চেহারাটা ঢাকতে মুসলিমরা মুখে বলে যে, এটা সহী ইসলাম নয় আবার মনে মনে তাদের সাফ্যল্যও কামনা করে) __________________________________________________ * সামরিক ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ একজন ব্যক্তিই থাকেন, যিনি সর্বোচ্চ আদেশ দেন এবং বাহিনীর সবাই তার আনুগত্য করে। একাধিক ব্যাক্তি হলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ( এখানে একটা কথা বলে রাখছি, যে তখন মোহম্মদ ছিল আর এখন কিন্তু মোহম্মদ নেই, তবে লাদেন, জাওয়াহিরি বাগদাদী এদের সাথে একটু মিলিয়ে দেখুন তো কিছু মিলছে কিনা ?) তাই আল্লাহ সকল জিহাদীকে আল্লার রসুলের আনুগত্য করতে আদেশ দিয়ে বলছেন, "যারা, তোমার আল্লার রসুল মহম্মদের নিকট আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করে, তারা তো আল্লার আনুগত্যেরই শপথ গ্রহণ করে," 48/10 _________________________________________________ সেই সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহ জিহাদীদের স্বর্গীয় সাহায্য ও বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলছেন যে, তিনি 5000 ফেরাস্তা বা দেবদূতকে জিহাদীদের হয়ে যুদ্ধ করার জন্য পাঠাবেন যাতে তারা জয়ী হতে পারে 3/124-125 _________________________________________________ "তোমরা শিথিল হইয়ো না, ও বিষন্ন হইয়ো না। তোমরাই সমুন্নত যদি তোমরা প্রকৃত বিশ্বাসী হও" 3/139 .............. ___________________________________________________ ** আল্লা আরও বলছেন, "যারা বিশ্বাসী তারা আল্লার পথে যুদ্ধ করে এবং যারা অবিশ্বাসী তারা শয়তানের পথে যুদ্ধ করে, নিশ্চয়ই শয়তান এক দূর্বল চক্রান্তকারী" 4/76...... _______________________________________________ "হে বিশ্বাসীগণ, তোমরা যখন কোন (কাফের) বাহিনীর সম্মুখীন হও তোমরা অবিচলিত থাকবে এবং মুখে ও মনে আল্লাকে স্মরণ করবে, যাতে তোমরা বিজয় প্রাপ্ত হও" 8/45। (বাস্তবে আসুন, আল্লা কি এখানে আমেরিকার বা অন্যান্য সেনাবাহিনী VS জঙ্গীদের বোঝাতে চেয়েছেন ? নাকি অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষকে বুঝিয়েছেন?? ) _____________________________________________ 'যদি আল্লা তোমাদের সাহায্য করেন, তবে তোমাদের উপর কেহ জয়ী হতে পারবে না এবং তিনি যদি তোমাদের পরিত্যাগ করেন তবে কে আর তোমাদের সাহায্য করবে" 3/160 ____________________________________________ "হে নবী, বিশ্বাসীগণকে যুদ্ধে উদীপিত কর, যদি তোমাদের মধ্যে কুড়িজন ধৈর্যশীল থাকে, তবে তারা দু'শ জনের উপর জয়ী হবে এবং তোমাদের মধ্যে এক'শ জন থাকলে তারা এক হাজার জন অবিশ্বাসীর উপর জয়ী হবে"8/68 _____________________________________________ পক্ষান্তরে জিহাদ করতে এসে জিহাদের ময়দান থেকে ভয়ে পলায়ন করলে আল্লার চোখে তা হবে অতিশয় নিচ কাজ এবং তার শাস্তি হবে ভয়ঙ্কর। তাই আল্লা বলেছেন, "হে বিশ্বাসীগণ, যখন তোমরা জিহাদে অবিশ্বাসীদের সম্মুখীন হবে, তখন তোমরা, পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে না। যে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে সে হবে আল্লার বিরাগভাজন এবং তার আশ্রয় হবে নরক" 8/15-16 আগেই বলা হয়েছে যে, জিহাদ করতে গিয়ে যারা শহীদ হবে, আল্লার জান্নাতে তারা হবে আল্লার বিশিষ্ট অতিথি। এই ব্যাপারে আল্লা বলছেন "যারা আল্লার পথে নিহত হয়েছে, তাদের তোমরা কখনও মৃত মনে করো না। আল্লার দৃষ্টিতে তারা জীবিত এবং প্রতিপালকের কাছ থেকে তারা উত্তম জীবিকা প্রাপ্ত হয়ে থাকে" 3/169 "যারা পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবন বিক্রয় করতে ইচ্ছুক তারা আল্লার পথে সংগ্রাম (জিহাদ) করুক, এবং কেহ আল্লার পথে সংগ্রাম করলে সে মরুক বা বাঁচুক, আমি তাকে মহান প্রতিদান দিব" 4/74 কোন মুসলমানের পক্ষে জিহাদে শহীদ হওয়া এতই লাভজনক যে, একজন মুজাহিদ বলবে, 'আমি আল্লার পথে জিহাদ করে শহীদ হব এবং শহীদ হবার জন্য আবার বেঁচে উঠব এবং শহীদ হব, শহীদ হবার জন্য আবার বেঁচে উঠব এবং শহীদ হব, এবং শহীদ হবার জন্য আবার বেঁচে উঠব' বোখারী-454

1 comment:

  1. জিহাদে শহীদ হওয়া কত উপকারী ও লাভজনক তা বোঝাতে নবী- মোহম্মদ বলতেন যে-
    **1) শহীদের আত্মা সবুজ পাখী হয়ে স্বর্গে (বেহেশত) গিয়ে বসবাস করবে এবং স্বর্গের যেখানে সেখানে উড়ে বেড়াবে।
    **2) তাদের সমস্ত গোনা (পাপ) ও কুকর্ম ক্ষমা করা হবে।
    **3) কেয়ামত বা শেষ বিচারের দিন সেই শহীদ তার 70 জন আত্মীয় ও বন্ধুর জন্য আল্লার বিচারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে।
    **4) কেয়ামতের সেই ভয়ঙ্কর দিনে সে অবিচলিত থাকবে।
    **5) সে মৃত্যুর কোন কষ্ট বা যন্ত্রণা অনুভব করবে না।
    **6) কাফেরদের হত্যা করার ব্যাপারে সে কোন অনুতাপ দুঃখ ভোগ করবে না।
    _________________________________________
    এখন বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয় যে, জিহাদ ও জিহাদে শহীদ হবার উপরিউক্ত ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গীর ফলেই পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সৌদি আরব, ইরাক, ইরান প্যালেস্টাইন ইত্যাদি ইসলামী দেশগুলোর হাজার হাজার যুবক যুবতী সন্ত্রাসবাদী ও আত্মঘাতী বোমা বা "suicide bomber" (ফিদায়িন) হবার জন্য এগিয়ে আসছে ।
    তাই বলছি যে ইসলাম কোন ধর্মই নয়.... এটা একটা চতুর আর বিকৃত মানুষিকতার চিন্তাধারার ফসল।

    ReplyDelete