হিন্দুর দলগড়ার পিছনে উদ্দেশ্য হচ্ছে ভিড়ের মাঝে নিজেকে লুকিয়ে রাখা! কিছু পেতে হলে তার উপযুক্ত মূল্য দিতে হয়৷ ব্যক্তিগত ভাবে যারা মূল্য দিতে প্রস্তুত, তারা সংগঠিত হলে সেখানে শক্তি তৈরী হয়৷ কিন্তু বিপদের সময় আমার সামনে দশজন লোক দাড়িয়ে থাকুক, যাতে আঁচটা আমার গায়ে না লাগে-এই মানসিকতা নিয়ে জোটবদ্ধ হতে চাইলে কারো কোন লাভ হবে না৷ যারা সংগঠনের কথা বলে তাদের বেশীর ভাগেরই সঙ্ঘর্ষের প্রস্তুতি বা সাহস নেই৷ বাঘের হাত থেকে বাঁচার জন্য হরিণের জোট বাঁধা আর মোল্লার হাত থেকে বাঁচার জন্য হিন্দুর জোট বাঁধা প্রায় একই রকম৷ হরিণের দলের মধ্য থেকে একটা দুটোকে টার্গেট করে বাঘ যখন তাদের শিকার করে, তখন বাকীরা তাদেরকে বাঁচানোর জন্য ঝাপিয়ে পড়ে কি? বরং নিজেদের ভাগ্যবান মনে করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়৷ হিন্দুদের ক্ষেত্রেও একই রকম৷ মোল্লার আক্রমণ প্রতিহত করতে জোট বাঁধার দৃশ্য খুব কম চোখে পড়ে কিন্তু মার খেয়ে পার্শবর্তী কোন নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়ে শ'য়ে শ'য়ে লোকের সমবেত ক্রন্দন শোনার অভিজ্ঞতা প্রচুর হয়েছে৷ বিপদে পড়ল এইভাবে জোটবাঁধার অঙ্কটা হল - টার্গেটের সংখ্যা যত বেড়ে যাবে, নিজে hit হওয়ার probability তত কমে যাবে! তাই সিংহ একটার জায়গায় দশটা হলে সাধু! কিন্তু ভেড়া একটাও যা, একশটাও তাই৷ বরং একটার জায়গায় একশটা ভেড়া থাকলে শিকারীর আনন্দ একশ গুন বৃদ্ধি পায়!
No comments:
Post a Comment