ইসলাম-অনুসারী মুসলমানদের এই গণহত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আজ নতুন নয়। এটা হাজার বছরের পুরোনো। এই বর্বরতা শুরু হয় আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে, মুহম্মদের হাত ধরে। তিনি তার সৃষ্ট ধর্ম ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে অগণিত ভীন্নধর্মী মানুষকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন। যারা ইসলাম ধর্মে ঈমান আনবে না, ইসলামে বিশ্বাস আনবে না তাঁদেরকে হত্যা করা ইসলামে জায়েজ বলেছেন আল্লার প্রিয় নবী মুহম্মদ। মুসলমানদের ধর্মের প্রবর্তক হল মুহম্মদ। তারা মুহম্মদের মাধ্যমে আল্লার প্রাপ্ত বাণী কোরানকে পৃথিবীর শ্রেষ্ট ধর্মগ্রন্থ হিসেবে জানে। আর মুহম্মদকে আল্লার প্রেরিত রাসুল হিসেবে অন্ধবিশ্বাস করে মুসলমানরা। তাদের ধর্মগ্রন্থ কোরানে অনেক আয়াত আছে, বিধর্মী কাফের মুরতাদদের হত্যা করলে সোয়াব হয়। বেহেস্তে ৭২ হুরীর সাথে পাকাপাকি ভাবে থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়। তাই ইসলামের অনুসারীরা ইসলাম ও আল্লার পথে জিহাদ করে। বেহেস্তে যাওয়ার জন্য বিধর্মী মুরতাদ কাফেরদের হত্যা করে।
বিশ্বে এখন ইসলামী সন্ত্রাস থেকে কেউ রেহাই পাচ্ছে না। কয়েক মাস আগে সভ্যতার দেশ ফ্রান্সের মতো জায়গায় শার্লি হেব্দোর কার্টুন পত্রিকা অফিসের ১২ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে মুসলিম সন্ত্রাসীরা। এরপর জানা গেল, পাকিস্তানে ১৩২ জন স্কুলশিশুকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসলামিক তালেবান জঙ্গিরা। ইরাক-সিরিয়ার ইসলামিক জঙ্গিগৌষ্ঠি আইএস তো প্রতিদিন ১০, ২০, ৫০, ১০০, ১৫০ জন করে গণহারে হত্যা তো করছেই। কিছুদিন আগে নাইজেরিয়ার ইসলামি জঙ্গি গৌষ্ঠি বোকো হারাম তো সর্বোচ্চ ২০০০ হাজার জন খ্রিষ্টানকে আল্লার নামে গণহত্যা করেছে। তাছাড়া সেখানে তারা স্কুল থেকে খ্রিষ্টানদের ছোট ছোট মেয়েগুলোকে অপহরণ নিয়ে যায় ধর্ষণ করার জন্য, নয়তো তাদের যৌনদাসী হিসেবে বাজারে বিক্রি করে দেয়। কোরান মেনেই এখনো তারা দাসপ্রথা টিকিয়ে রাখতে চায়। ওখানে যারা গণহত্যার শিকার হয়েছেন, তাদের অপরাধ একটাই - তারা খ্রিষ্টান, তারা বিধর্মী। আর বিধর্মীদের হত্যা-ধর্ষণ করা ইসলামে জায়েজ। এর আগে বাংলাদেশে মুসলিমদের ধর্মানুভূতিতে আঘাতের বরাত দিয়ে এক বছরের ভেতর ৮/১০ জন মুক্তমনা ব্লগারদের চাপাতি দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে ইসলামি জঙ্গি গৌষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিম। দু'দিন আগে কেনিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০ জন খ্রিষ্টান ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করে আরেক ইসলামি জঙ্গি গৌষ্ঠি দল আল শাবাব। তারা হত্যা করার সময় ছাত্রদের নাম জিজ্ঞেস করে, মুসলিম নাকি জিজ্ঞেস করে। নবী পিতা-মাতার নাম ও কিছু কোরানের আয়াত মুখস্থ বলতে বলে যারা পারেনি, তাঁদেরকে হত্যা করেছে মুসলিম সন্ত্রাসী গৌষ্ঠি আল শাবাব। শুনেছি, ভারতের মতো হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা পশ্চিমবঙ্গে বিবেকানন্দের বেলুড় মঠেও সন্ধ্যায় হিন্দুদের প্রার্থনারত অবস্থায় বোমা হামলা করে সেখানকার একদল মুসলিম সন্ত্রাসীরা। যা পরে চকলেট বোমা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়।
বিশ্বে এমন কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নেই, যেখানে মুসলিমদের নাম নেই। সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মুসলিমরাই চালায়। আর ইসলাম তাদের মদত দেয়।
এবার অবশ্যই ভারতবর্ষের পালা। কারন আইসিস এবার ভারতকে তাদের নিশানা বানিয়েছে...।।
..... তবে হ্যাঁ ধন্যবাদ দিতে হয়, আমাদের বাজারি প্রেশ্যা মিডিয়াকে। কারন তারা অন্তত এই সব খবর পুঙ্খ্যানুপুঙ্খরূপে প্রকাশ করে আপনাদের সুখনিদ্রা থেকে কিছুতেই বঞ্চিত করতে চান না।
No comments:
Post a Comment