মুসলমানদের উৎপত্তির ইতিহাস জানে না বলেই তাদেরকে ভাই বলে মনে করে হিন্দুরা।
“সেদিন ঢাকা হইতে একটি কৌতুহলজনক সংবাদ শুনিলাম। এক বাড়িতে খাইতে গিয়াছি। সেখানে অতি সুশ্রী, সুশিক্ষিত ও অতি সুবেশও বটে - একটি বাংলাদেশী যুবকও ছিল। কথায় কথায় সে আমাকে বলিল যে, মায়ের দিক হইতে সে সৌদি আবদুল আজিজ ইবন -এর বংশধর। আমি হাসিয়া জিজ্ঞেস করিলাম, “কোন তরফ, সিধা- না বাঁকা?” যুবকও হাসিয়া উত্তর দিলো, জারজ তরফেই বটে। আমি আবার জিজ্ঞেস করিলাম, “কোন উপপত্নীটি?”… সকলেই অবশ্য হাসিল।”
এ প্রসঙ্গে বলা যায়, বাংলাদেশী মুসলিম লেখিকা তসলিমা নাসরিন তাঁর ‘আমার মেয়েবেলা’ গ্রন্থের এক মুসলিম লেখকের বরাতে উল্লেখ করেছেন- “ সৌদি আরব , ইরান, ইরাক সকলেই স্থানীয় মেয়েদের (মুসলিম মেয়েদের) ‘উপপত্নী’ হিসেবে বাড়িতে রাখতো। এদের সন্তান-সন্ততিরাবর্তমানে মুসলিম জাতিবিন্যাসে একটা বড় অংশ।”
এসব অবৈধ মুসলিম সন্তানগুলো যে নিজেদের অবৈধ জন্মপরিচয় নিয়ে গর্ববোধ করতো, সেটাই আলোচনার শুরুতে তসলিমা নাসরিনের অভিজ্ঞতায় ফুটে উঠেছে। কুৎসিত ব্যাধিসমূহও হিন্দুদের সমাজে অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয় বলে ধরে নেয়া হতো। উপরোক্ত ‘নির্বাচিত কলাম’ বইটিতে এ প্রসঙ্গে বেশকিছু ঘটনা রয়েছে, যার মধ্যে একটি হলো “দাদা একটি জলচৌকিতে বসিয়া আছে, কোমর পর্যন্ত লুঙ্গি তোলা, একটা কি তীব্রগন্ধ ঔষধ দিয়া উন্মুক্ত উপস্থ ধুইতেছে, তাহার অগ্রভাগ হইতে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত নীচে একটা পিতলের বাটিতে পড়িতেছে। এতগুলি বালক বালিকা যে আছে তাহাতে সে কেনোও সঙ্কোচ বোধ করে নাই। অবশ্য আমরা বালক-বালিকারাও দৃশ্যটা দেখিয়া উহাতে মনোযোগ দেওয়া বা কথা বলার কোনো আবশ্যক দেখি নাই। আমাদের অস্পষ্ট ধারণা ছিল যে, শহরের উপকণ্ঠে বেশ্যাপাড়া বলিয়া যে একটা বেড়া-দেওয়া দোচালা-চারচালারবসতি আছে, সেখানে যাওয়ার জন্যই এই ধরনের রোগ হয়; উহা লইয়া চেচামেচি বা মাতামাতি একেবারে অহেতুক।”
একসাথে খেতে বসে নিজের জন্মপরিচয়ের অবৈধতা নিয়ে হাসিঠাট্টা করা, কিংবা কুৎসিত ব্যাধিসমূহকে স্বাভাবিক বলে ধরে নেয়া, এগুলো কোনো হিন্দু তার দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারবে না। তবে কেন তারা মুসলমানদেরকে বন্ধু মনে করে? কেন তাদেরকে ভাই বলে ডাকে তারা? কারণ একটাই, হিন্দুরা মুসলমানদের ইতিহাস জানে না। তারা জানে না যে, মুসলমানদের সমাজ কতোটা অপবিত্র।
...... স্বর্নেন্দু বিশ্বাস......
No comments:
Post a Comment