এই শতাব্দীর এক অকুতোভয় অনন্য সাধারন বামপন্থী কথা সাহিত্যিক 'হুমায়ূন আজাদ' ও বাংলাদেশের হিন্দু নিপীড়নের উপর তার অমর কালজয়ী সৃষ্টিঃ
"পাক সার জমিন সাদ বাদ" -- (পর্ব - ১৬)
------------------------------------------------------------
পর্ব যত বাড়ছে জিহাদের নৃশংসতা,নারীদেরউপর ইসলামী বর্বর অত্যাচারের কাহানী ততোই বাড়ছে। তাই পড়ুন।
-----------------------------------------------------------
প্রতিটা পাড়ায় গেলেই প্রথমে জরাজীর্ন বুড়িরা বেরিয়ে আসে।
আমরা জানতাম তারাই আসবে, আমরা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যুবতীরা বুকের কাপড় খুলে পাছা দুলিয়ে নাচতে নাচতে স্বাগতম জানানর জন্য আসবে না। তবে ওদের আসতে হবে, এটা অরাও জানে, তাদের পিতারাও জানে, ভাইয়েরাও জানে, আর ভাঙ্গাচোরা পতিদেবতারাও জানে। এটাও জানে দেবতার ওপরেও দেবতা আছে, একদল দেবতার পর আরেকদল দেবতা আসে; আকাশে আসে, মাটিতেও আসে। তারা কি জানেনা আমরা নতুন দেবতা হয়ে দেখা দিয়েছি? আমাদের পুজো করা তাদের কর্তব্য?
আমি কৌশল পছন্দ করি, কৌশল হচ্ছে আমার কাছে মালাউন যুবতীদের মত, তাদের গন্ধের মত, তাদের ঠোঁটের মত।
অবশ্য আমি কৌশল শিখি আমাদের পাক ধর্মের ইতিহাস পড়ে; ওইসব কৌশলে আমি মুগ্ধ হই, হোলি টেররে ওগুলো অতুলনীয়। কৌশল ছাড়া সফল হওয়া যায় না, সন্ধি করতে হয়, সময় বুঝে সন্ধি ভেঙ্গে ফেলতে হয়; সময় বুঝে করুনাময় হতে হয়, সময় বুঝে হতে হয় বাঘ, একপ্টু রক্ত খেতে হয়।
আমি বলি, ‘আপনারা কেমন আছেন?’
তারা বলে, ‘আল্লার দোয়ায় ভালো আছি হুজুর’।
আমি বলি, ‘আল্লার রহমতে আপনারা ভালো থাকেন, আমরা তাই চাই, আল্লাতালাও তাই চান। আপনাদের ভাল রাখার জন্যই আমরা এসেছি’।
তারা বলে, ‘হুজুর, আপনের দয়া’।
আমি বলি, ‘আপনারা কিরকম আগুন পছন্দ করেন? ঠান্ডা না গরম?’
খুব ভয় পায় ওরা, এতো ভয় পায় যে ওদের মুখ থেকে ভয়ের চিহ্ন দেখাতেও ভয় পায়; কার মুখে ভয় দেখলে আমি পুলক বোধ করি।
তারা বলে, ‘হুজুর আপনের কতা বুঝতে পারতেছি না, একটু বুজাই বলেন। ঠাণ্ডা আগুন আবার কেমন?’
আমি বলি, ‘ঠাণ্ডা আগুন শীতল, নিঃশব্দ, কেউ বুঝবে না যে পুড়ে গেছে, পুড়ে যাওয়ার পরও আগের মতই সুন্দর দেখাবে’।
তারা কথা বলে না, ঠান্ডা আগুনে পুড়তে থাকে।
আমি বলি, ‘আমার জিহাদিরা এসেছে একটু বিজয় উতসব করার জন্য, বিজয়ের পর বিজয় উতসব করার নিয়ম আছে, আপনারা জানেন, তাদের একটু উতসব করতে দিন।
তারা বলে, ‘হ.., জয়ের পর ত উতসব করতেই হয়। তাইলে আমরা বাইদ্যকরগো লইয়া আহি’।
আমি বলি, ‘বাদ্যকর লাগবে না, জিহাদিরা একটু উতসব করবে, একটু দোল যাত্রা আর একটু ঝুলন পূর্নিমা করবে, বাধাটাধা দিয়েন না, তাহলে পাঁচ দশটা লাশ পড়বে আর আপনাদের মেয়েদের জিহাদিরা ধর্ষন করেছে, এটা জানাজানি হলে আপনারা মুখ দেখাতে পারবেন না’।
তারা বলে, ‘হুজুর, আমাগো মাফ করেন, আমাগো টাকা পয়সা যা আছে লইয়া যান, খালি আমাগো মাইয়াগুলিরে মাফ করেন’।
আমি বলি, ‘জিহাদিরা ধর্ষন করবে না, জেনা করা হারাম, তারা বিছমিল্লা বলে একটু ছহবত করবে, তাতে গুনাহ হবে না’।
তারা কাঁদতেও ভুলে যায়, পায়ে পড়তেও ভুলে যায়।
তারা তাদের টাকাপয়সা সোনারুপা এনে জড়ো করে আমাদের সামনে, জিহাদিরাও খুঁজে বের করে নানা বিস্ময়কর স্থান থেকে। মালাউনগুলো জিনিশপত্র লুকোত্তে বেশ দক্ষ, তাই আমরা হই দক্ষতর; হয়তো ওরা মেয়েদের নরম ফাঁকে ফাঁকে আর নিজেদের পাছায়ও জিনিশপত্র লুকয়ে রেখেছে। তাই প্রতিটি গর্ত পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
ক্রমশ...
No comments:
Post a Comment