Monday, 27 July 2015

বিশ্বের হিন্দু এক হও

বিশ্বের হিন্দু এক হও পৃথিবীর. সকল. হিন্দুর কাছে এক নগন্য হিন্দু সন্যাসীর এই আবেদন। কোনও আন্দোলনের স্লোগান নয় ,কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত আবেদন নয়। শুধু লক্ষ লক্ষ সম্প্রদায়ে বিভক্ত হিন্দুদের পরস্পরের মধ্যে বিদ্যমান সংকীর্ণতার গণ্ডী ভেঙ্গে প্রসারতার দিকে অগ্রসর হবার জন্য সস্নেহ আহ্বান। মতুয়ার বুদ্ধি বা সংকীর্ণ গণ্ডীবদ্ধ ধ্যানধারণা হিন্দু নামে পরিচিত এই মহাজাতিকে বহুধা বিভক্ত করে রেখেছে। বিভক্ত থাকার ফলে দূর্বল হয়েছে জাতীয়তা,বিপন্নহয়েছে আত্মপরিচয়,এমনকি অবলুপ্তির পথে এগিয়ে চলেছে সমগ্র হিন্দু সমাজ।আধ্যাত্মিক জগতে ঐক্যভূমিনির্মাণ ব্যতিত হিন্দুগণ উপলব্ধি করতে পারবে না পূর্ণতার আনন্দ ,ভূমার আনন্দ ,নিশ্চিত নির্ভরতার আনন্দ। যে জাতি আত্মপরিচয়,নিরাপ ত্তা এবং অস্তিতই বিপন্ন,তার অন্তরে পরমানন্দ স্ফূর্ত হবে কেমন করে, কেমন ক‘রে সে বিশ্ববাসীকে দেখাবে শ্বাশত. শান্তির আপন? আর্যজনোচিত সমন্নুত দিব্যজীবন লাভ ক‘রে সেই দিব্যজীবনের আপন বিশ্ববাসীকে দেখাবার জন্য হিন্দুজাতিকে উঠে দাঁড়াতে হবে আত্মপ্রত্যয়ের শক্ত মাটিতে। পরস্পর কলহে রত,গণ্ডীতে আবদ্ধ জীবন নিশ্চয়ই হিন্দুর পক্ষে মহনীয় অন,বরণীয় নয়।পরন্তু পরস্পরের প্রতি,শ্রদ্ধা,সহানুভূতিযুক্ত ধর্মনিষ্ঠজীবন,উদারতার সংঙ্গে সংহতির প্রকাশ এবং নিজের ব্যক্তিগত অস্তিত্বের. সঙ্গে স্বদেশ-স্বজাতির অস্তিত্বকে এক ক‘রে অনুভব করা, নিশ্চয়ই হিন্দুর পক্ষে মহনীয়ও বরণীয়।তাই এক নগণ্য হিন্দুর ব্যাথা ভরা অন্তরের অন্তস্তল থেকে উঠেছে এই সাদর আহ্বান-‘বিশ্বেরহিন্দু এক হও‘ । হিন্দুধর্মের সব মতপথের মুখ্য উদ্দেশ্য ব্রহ্মোপলব্ধি বা ঈশ্বরলাভ। ব্রহ্ম,পরমাত্মা,ভগবান,ঈশ্বর কিংবা আদ্যাশক্তিস্বরু পা চিন্ময়ী জননী সবই সেই ভুমার স্বরুপ।এইভূমাই পরম আনন্দ ।এর কমে পূর্ণানন্দ নেই। ‘ভূমৈব সখম্ নাল্পে সুখমস্তি‘-ঋষিদের শাশ্বত বাণী।শ্রী ঠাকুর সদ্যানন্দ বললেন-‘‘পশু সিদ্ধি বর্তমানকে নিয়ে ,মানবের সিদ্ধি বর্তমানকে অতিক্রম ক‘রে, অতি মানবের দৃষ্টি অতি প্রসারিত,ব্রহ্মভ্ঘের দৃষ্টি -সিদ্ধ ভূমাতে,অ-সীমাতে।তাই প্রসারতা ব্রহ্মগেয়ানের সহায়। হিন্দু সন্নসী স্বামীবিবেকানন্দ অনুভব করেছিলেন এপ্রসারতার চরম অবস্থা।বলেছিলেন-‘হরিভাই,ঈশ্বর লাভ বলতে কিবুঝায় জানিনা , তবেআমার বুকটা বড় হয়ে গেছে। সারা বিশ্বকে বুকে জড়িয় ধরতে ইচ্ছে করছে। সমস্তসংকীর্ণতারঊর্ধ্বে না উঠলে এ অবস্থা হয় না, আত্মকেন্দ্রিকতার সমস্ত গণ্ডী না ভাঙলে এই উদারতা আসেনা , সর্বভূতে বাসুদেব দর্শন না হ‘লে এই দুর্লভ অভিঙ্ঘতা হয় না। বাসুদেব সর্বমিতি স মহাত্মা সুদুর্লভ: —

No comments:

Post a Comment