প্রতিদিনের মত প্রশ্নের কালকে উত্তর একজন মিত্র আমাকে প্রশ্ন করল সেটা দেখে গুরুত্ববহ মনে হল তাই সবার সামনেই উত্তর করছি ভুল হলে সংশোধন করে দিবেন।
দীপ শিখা
আমকে আমার fb friend একটা question
করেছে।আমি ভাল ans পাছি না।
প্লিজ হেল্প মি।
Yesterday at 6:19pm · Sent from Messenger
Kartik Krishna Roy
কি বলেছে?
Yesterday at 6:20pm
দীপ শিখা
বন্ধু,আমি একদিন এক মুসলমান বন্ধুর সাথে
এক কালি মায়ের মন্দিরের সামনে
দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম ।তো যাওয়ার
সময় দেখতে পাই এক কুকুর কালি মায়ের
মন্দিরে ঢুকে মায়ের উপরে প্রসাব
করতেছে ।তো এই দেখে মুসলমান বন্ধুটি
আমাকে বললো,দেখ দেখ তোমরা যে
কালিমাকে পূজা কর সেই
কালিমায়ের উপরে কুত্তায় প্রসাব করে
।সে আরো বলে,যে কালিমাকে
তোমরা আনন্দের সহিত পূজা কর সে
কালি মা তো নিজেকেই কুত্তার
প্রসাব থেকে রকখা করতে পারেনা
,তাহলে সে তোমাদেরকে কিভাবে
রকখা করবে,তবে কেন কর সে কালির
পূজা ।এই প্রশ্নের উত্তরে আমি কিছু
বলতে পারিনি ,কারন আমি ধর্ম বিষয়ে
বেশী কিছু জানিনা ।তুমি এর উত্তর
জানো বন্ধু ।
Yesterday at 6:20pm · Sent from Messenger
দীপ শিখা
কিভাবে ভাল ans দেওয়া যায়?
Yesterday at 6:21pm · Sent from Messenger
শুরুতেই বলছি আমরা মূর্তিপূজা বা পুতুলের পূজা করি না। একটা উদাহরন দেওয়ার পর উত্তর দিচ্ছি। এক বন্ধুকে খুব ভালোবাসি সে খুব শক্তিশালী ও প্রতাপশালী। আমাকে অনেক বিপদ থেকে বাঁচিয়েছে তাই তার ছবি এনে দেয়ালে লাগিয়ে রেখেছি তাকে শ্রদ্ধা করার জন্য। একেবারে সুন্দর মালা দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছি। কয়েকদিনের জন্য আমি বাড়ির বাইরে গেলাম তারপর এসে দেখি সেই শক্তিধর আমার বন্ধুর ছবিটার একি অবস্থা? চারদিকে মাকড়সার জাল ছবির উপর ধুলো জমে একাকার।আমি তো একেবারে অবাক? এত শক্তিধর বন্ধু আমার কিন্তু সামান্য মাকড়সা ধুলো ওর গায়ে পড়ল অথচ ও পরিষ্কার করতে না। এ থেকে কি আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি বন্ধুর গায়ে শক্তি নাই? নাকি তার ছবির শক্তি নাই? নাকি ছবি দ্বারা তাকে বোঝানো হয় নি?
এখানে প্রশ্নে যে ঘটনার বননা করা হয়েছে তা আদৌও সত্য কি না জানি না তবুও উত্তর দিচ্ছি আমরা হিন্দুরা মূর্তির মধ্যে দেবতাকে আবাহন করে তার পূজা করি তারপর বিসর্জনের মাধ্যমে তাকে বিদায় দেই। আপনারা দূর্গা প্রতিমা ভাসানোর দৃশ্য মনে করুন দূর্গা মূর্তিকে ডুবানোর জন্য ভক্তরা মূর্তির উপর চড়ে থাকে এখন প্রশ্ন হল ভক্তরা মূর্তিকে যদি দূর্গা ভাবত তাহলে কি চড়ত,?বিসর্জনের পর ঐ মূর্তি পুতুল ছাড়া কিছুই নয়। এখানে ঐ প্রশ্ন থেকে বোঝা যায় হিন্দুরা কত ধর্মের প্রতি উদাসীন মন্দিরের দরজা কেনার মত তাদের সময় নেই তারা বছরে একবার হেলাফেলার এক পূজা করে বির্সজিত মূর্তি ফেলে রাখে এক বছরে আর মন্দিরের মুখো হয় না। এইজন্য মন্দিরগুলোর এ অবস্থা। প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ।
আজ আমরা হিন্দুরা শাস্ত্র বিধিনিষেধ না জেনে যেখানে সেখানে মন্দির করে পূজা করছি। কিন্তু এটা জানি না দেবঅর্চন করার কিছু নিয়ম আসে সবাই করতে পারে না। টাকা থাকলে দেবঅর্চন হয় না চাই শ্রদ্ধা ভক্তি।বছরে একবার কলা ছড়া আর বাতাসা ৫০টাকা দিয়ে কিনে মায়ের কাছে৫কোটি টাকা চেয়ে বসে থাকি তাহলে কি মা সেখানে আসবে? সেখানে কুকুর বিড়াল সবাই প্রশাব করতে পারে কোন অসুবিধা নাই।Kartik Krishna Roy
No comments:
Post a Comment