Thursday, 2 July 2015

বেদ ও গীতার মীমাংসা

বেদ এর চারটি ভাগ। সংহিতা, ব্রাহ্মন, আরণ্যক, উপনিষদ। সংহিতা ও ব্রাহ্মন ভাগ লইয়া কর্মকান্ড আর আরণ্যক ও উপনিষদ ভাগ লইয়া জ্ঞানকান্ড। কর্মাকান্ডে নিষ্কাম কর্মের পাশাপাশি সাংসারিক ব্যক্তিবর্গ এর জন্য সকাম কর্মের ব্যবস্থ্যাও রয়েছে। এসব কাম্য কর্ম যথাযথ পালন করলে সে স্বর্গ প্রাপ্ত হবে এবং সুখেই জীবন অতিবাহিত করবে। আর জ্ঞানকান্ড মানুষ কে অমৃতের সন্ধান দেয় এবং মোক্ষ প্রাপ্তি এর ব্যবস্থা করিয়া দেয়। গীতা ২/৪২-৪৪ এ ভগবান বললেন, হে পার্থ অল্পবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিগন বেদের কর্মকান্ডের স্বর্গ ফলাদি প্রাপ্ত প্রীতীকর বাক্যে অনুরক্ত, তাহারা মনে করে বেদ এর কাম্য কর্মই ধর্ম এছাড়া আর কিছু নেই। এরূপ ব্যক্তি কামনা কলুষিত, স্বর্গ প্রাপ্তির মোহে ও ভোগৈশ্বর্য তে আসক্ত হয়ে আপাতমনে এই মনোরম বেদবাক্য বলিয়া থাকে। কারন এরূপ সকামী ব্যক্তিগন নির্বুদ্ধিতার জন্য একাগ্র ঈশ্বর যুক্ত হতে পারে না। ★★ আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনিত হলাম যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এখানে বেদ পাঠে নিরুৎসাহিত কিংবা বেদ নিন্দা করেন নি। তিনি ঐ সকল নির্বোধ দের উদ্দ্যেশ্য করেই এই উক্তি করেছেন। এখানে সেই সকাম ব্যক্তিদের কথা বলেছেন যারা মোক্ষ কি তা না জেনে স্বর্গ প্রাপ্তিকেই মুখ্য ভাবে। আর একথা সত্য যে সকামী ব্যক্তির মন নানাদিকে ধাবমান হয় এবং ঈশ্বর এ স্থির না হয়ে ভোগ বাসনায় ব্যস্ত থাকে। কেবল নিষ্কাম কর্মেই ঈশ্বর প্রীতি আসে। ওঁ শান্তি শান্তি

No comments:

Post a Comment