গতবারের দূর্গা পূজার সপ্তমী পূজার
দিনের মজার একটা ঘটনা শেয়ার
করছি। দূর্গা পূজায় প্রতিমা দেখার জন্য
আমার এক মুসলিম ক্লাসমেট প্রস্তাব করল
বন্ধু এবার শহরের সব প্রতিমা আমাকে
ঘুরে ঘুরে দেখাতে হবে আমিও রাজি
হলাম। সপ্তমী পূজা পর বের হলাম
প্রতিমা দর্শনে। শহরের পূজা কমেটির
অধিকাংশ লোক পরিচিত হওয়ায়
অন্যদের চেয়ে একটু খাতির সুবিধা
বেশিই পেলাম। অধিকাংশ মন্দিরে
প্রসাদের প্যাকেট হাতে ধরে দিল
আবার কেউ বসে প্রসাদ পেতে বলল।
যাইহোক সঙ্গে মুসলিম ক্লাসমেট তাই
বসে প্রসাদ নিচ্ছি না কেননা সে
আমাকে আগেই বলেছে প্রসাদ আমি
খাব না পূজার প্রসাদ আমার ধর্মে
হারাম খেলে গুনাহ হবে। আমিও প্রসাদ
খেতেই হবে এটা বললাম না কেননা ওর
ধর্মে ওটা হারাম। দুপুরবেলা অবাক করা
কান্ড হয়ে গেলে এক মন্দিরে গিয়ে
প্রতিমা দেখতেই পূজা কমেটির
লোকেরা দুপুরের প্রসাদ পেতে বলল
মানে দুজনকেই রীতিমত টেনে
প্রসাদের প্যান্ডেলের নিয়ে গেল।
এখন খেতেই হবে। আমি আমার মুসলিম
ক্লাসমেটকে বললাম খেলে কিছুই হবে
না খা এ খাবার পূজায় দেয়নি ভাত
তরকারিই তো। সে বলল না আমি খাব
না হারাম জিনিস খাব না। আমিও ওর
ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আর খেতে
বললাম না।তার ধর্মপ্রেম দেখে আমার
খুব ভালো লাগল।
ইদানিং ফেসবুকে আমার কিছু হিন্দু বন্ধু
ইফতারের ছবি তোলে তা আপলোড
করে স্টেস্টাস দিচ্ছে। এ দিয়ে সে
কি বুঝাতে চাচ্ছে? সে সেকুলার?
ইফতার যে সময়ে করা হয় সে সময়
সন্ধ্যাকাল আর সন্ধ্যাবেলায় সনাতন
ধর্মে খাওয়া দাওয়া করা নিষেধ
রয়েছে। কিন্তু হর হামেসাই সবাই
খাচ্ছে।
আজ কোথায় গেল সেই হিন্দু সমাজ
যারা মুসলিমদের হাতের রান্না করা
খাবার খাওয়ার জন্য লালনকে
সমাজচ্যুত ধর্মচ্যুত করেছিল? আজ সেই
সমাজে লোকেরা সন্ধ্যাবেলায়
বেলায় মুসলিমের সাথে বসে এক
প্লেটে খাচ্ছে আবার দাম্ভিকতা
দেখানোর কারনে সেই ছবি আপলোড
করার সাহস করছে? এর কারন কি? এর
কারন হল আমাদের ধর্মপ্রেমের অভাব
আজ আমরা ধর্ম থেকে অনেক দূরে চলে
গেছি। আজ আমাদের মধ্যে কোন ধর্মীয়
রীতিনীতি নাই সব হারিয়ে বসে
আছি। কোন কোন অবাঞ্ছিত হিন্দু
আছে যারা নিজের বন্ধুত্ব রক্ষার
খাতিরে বন্ধুর বাড়ি গিয়ে গরু খেয়ে
আসে। আর আমাদের শুনতে বন্ধু গরু খা কত
হিন্দু আমাদের বাড়িতে গরু খেল তুইও
খা।
আমার মুসলিম ক্লাসমেটের ধর্মপ্রেম
দেখে তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা বোধ
বেড়ে গেছে কিন্তু ইদানিং কালে
যারা আমাদের ধর্মের নিষিদ্ধ সময়ে
নিষিদ্ধ খাবার খাচ্ছে সেটা আবার
ছবি পোষ্ট করেছে তাদের প্রতি
আমার ততটাই ঘৃনা বেড়েছে। হিন্দু হয়ে
ইফতার করে তারা হিন্দুধর্মকে
আবমাননা করছে।। Kartik Krishna Roy
No comments:
Post a Comment