চাকুলিয়া আপডেটঃ হিন্দু সংহতি’র কর্মীরা এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দাঙ্গা বিধ্বস্থ চাকুলিয়ায় তাদের ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে পৌঁছুলেন। যেখানে ইতিমধ্যেই ১০টি সাঁওতাল হিন্দু পরিবার মুসলমানের আক্রমনে সর্বস্বান্ত হয়ে পথে বসেছেন। সংহতি কর্মীরা তাদের মধ্যে চিঁড়ে, চিনি, আলু সহ সামান্য কিছু আনাজপাতি বিলি করেন। দেখা গেল, স্থানীয় বিডিও সাহেব ইতিমধ্যেই তাদের জন্যে কিছু কালো পলিথিনের চাদরের বন্দোবস্থ করেছেন। উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ার বেলন অঞ্চলের সিরসি গ্রামে নিরীহ আদিবাসী সাঁওতালদের দশটি পরিবার ১৪ একর জমির উপর দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে কোনো ক্রমে দিনাতিপাত করে বসবাস করছেন। কিছুদিন যাবৎ কিছু বাংলাদেশি মুসলমান সম্প্রদায়ের লোক নানাভাবে উত্তক্ত করে তাঁদের সেখান থেকে বিতাড়নের চেষ্টা করতে থাকে বলে অভিযোগ। বিগত ২১শে জুলাই সকাল দশটা নাগাদ ঐ আদিবাসী পরিবারের সকল বয়ষ্ক পুরুষ ও মহিলারা যখন বাইরে মাঠে কাজ করতে যান তখন সাব্দুর আলির নেতৃত্বে তার চার পুত্র সহ প্রায় ২০০-২৫০ জন মুসলমান ওই আদিবাসী পাড়ায় চড়াও হন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। দশটি পরিবারের বাড়িগুলির যথাসর্বস্ব লুট করে পরে আগুন দিয়ে সম্পূর্ণ ধংস করা হয়, বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। একেবারে নিঃশেষ করে দেওয়া হয়। বসত বাড়ি ছাড়া অবশিষ্ঠ জমিটুকুতে যে ধানচাষ করা হয়েছিল সেখানে ট্রাক্টর চালিয়ে ফসল সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে দরিদ্র নিরীহ আদিবাসী মানুষগুলোর ঠিকানা হল মাথার উপরে খোলা আকাশের ছাদ, আর পায়ের তলায় নিজেরই বাড়ির পুড়ে যাওয়া ছাই। প্রতিবার মুসলমান এমনি ভাবেই দুর্বল হিন্দুর উপর আক্রমণ করবে আর সঙ্খ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুর করের টাকায় সরকার আক্রান্ত হিন্দুদেরই ত্রানের ব্যাবস্থা করবেন, ... খুব ভালো কথা! কিন্তু তাদের প্রতি বারংবার সংঘটিত এই অত্যাচারের সঠিক বিচারটি দেবে কে ? এই হতদরিদ্র মানুষগুলির দুরবস্থা দেখুন! এই ভরা বর্ষায় এইরকম খোলা আকাশের নিচে সাপ-খোপের মধ্যে আজ তারা হিন্দু সংহতির দেওয়া সামান্য চিনি-চিঁড়ে খেয়ে রাত কাটাবেন। ....কিন্তু এসব কেন? কেন এমন বার বার হয়? কারন একটাই ... আমাদের বিকৃত ধর্মনিরপেক্ষতারআদর্শ! ভারত বর্ষের সংবিধান বা কোন আইনের বাবার সাধ্য নেই যে এইরকম দুর্গতি থেকে হিন্দুদের বাঁচায়! সাধারন মুসলিম তো বটেই, এমনকি বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলমানেরাও এই রাষ্ট্রযন্ত্রেরফাঁক গলে (নির্লজ্জ তোষণে) যে কোন ধরনের অপরাধ এবং হিন্দুদের উপর নৃশংস অত্যাচার চালাতে পারে। সে যাই হোক, পুলিশ যদিও এই নিরীহ ও অতি দরিদ্র প্রান্তিক উপজাতী ভুক্ত মানুষ গুলিকে মুসলমানের জেহাদি আক্রমনের হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি, তথাপি আশার কথা, তারা কিন্তু যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গেই কড়া হাতে এই নিন্দনীয় ঘটনাটি'র বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছেন। মিঃ শুভেন্দু মন্ডলের মত একজন ডি এস পি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসারকে এই মামলাটির তদন্তকারী আধিকারিক (Investigation Officer) হিসেবে নিয়োগের মাধ্যমে জেলা প্রশাসন যে বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন, তা পরিস্কার।( Case no. - 386/15, dated 21.05.15. U/S - 143/148/ 149/ 447/ 448/ 436/ 427/ 354/ 379 IPC read with Sec 3(IV), (V), (XI) of Prevention of atrocities on SC & ST(1989) Act. )। এমত অবস্থায় হিন্দু সংহতির মহানির্দেশক শ্রী তপন কুমার ঘোষ মহাশয়, চাকুলিয়ার OC’র সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে জানতে পেরেছেন যে, আপাতত ১৩ জন মুসলমানের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং যার ভিতরে ইতিমধ্যেই ৮ জন দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় এই যে, উক্ত ৮ জন বন্দির মাঝে ৫ জনই মহিলা! বাকিরা ... পালিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল, এই নিরাপরাধ সহজ সরল আদিবাসী মানুষগুলির কাছে এখনো পর্যন্ত হিন্দু সংহতি ছাড়া আর অন্য কোন সঙ্ঘঠনের পক্ষ থেকে ছিটেফোঁটা সাহায্যও এসে পৌঁছালো না.....!! .... কৃতজ্ঞতা শ্রী বিশ্বনাথ মৃধা এবং শ্রী তপন কুমার ঘোষ....
No comments:
Post a Comment